নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাপ্তিযোগ শীর্ষে উঠেছে বাঙালির অন্যতম প্রিয় ক্লাব Mohonbagan’র। দিন দুই আগেই তাঁরা জিতে এনেছে Indian Super League বা ISL কাপ। সেই জয়ের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) তাঁদের আগেই ৫০ লক্ষ টাকা উপহার দিয়েছেন। সেই উপহারের পাশাপাশি সোমবার Mohonbagan ক্লাবে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের হাতে আরও ৫০ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন। সব মিলিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ভারতসেরা এই ক্লাবের কোটি টাকার প্রাপ্তি হয়ে গেল।
আরও পড়ুন মোদির সাক্ষাৎপ্রার্থী বঙ্গ বিজেপির শুভেন্দু বিরোধীরা
সোমবার যে মুখ্যমন্ত্রী Mohonbagan ক্লাবে যাবেন তা আগেই জানিয়েছিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ। সেই মতো আগে থেকেই এদিন সব প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। দলের ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ, সবাই উপস্থিত ছিলেন ক্লাব তাঁবুতে। ছিলেন ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত, সভাপতি টুটু বসুরাও। দলের সমর্থকরাও এদিন ক্লাব চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন। মমতা ক্লাবে গিয়ে প্রথমেই Mohonbagan ফুটবল দলের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল ও কোচ জুয়ান ফেরান্দোর হাতে মিষ্টি তুলে দেন। ক্লাব কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ISL ট্রফি তুলে দেন। মমতা হাতে নিয়ে দেখেন Mohonbagan’র গোলরক্ষক বিশাল কাইথের সোনার গ্লাভস। তার পরে একে একে সব ফুটবলারকে সংবর্ধনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত বছর এখানে এসেছিলাম। ক্লাবটা সুন্দর ভাবে গড়ে দিয়েছিলাম। বাংলার তিনটে ক্লাবেরই উন্নতি করেছে আমাদের সরকার। আমি আজ সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য ও মোহনবাগান ক্লাবের উন্নতির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫০ লক্ষ টাকা দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন কেষ্ট’র অনুপস্থিতিতে জমি ফেরতের সুর চড়ল শিবপুরে, মাথাব্যাথা নবান্নের
এদিন মোহনবাগান ক্লাবের তাঁবুতে গিয়েছিলেন তাঁদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারাও। তাঁরাও শুভেচ্ছা জানান পড়শি ক্লাবকে। সেই সূত্রে ISL কাপ জয়ী Mohonbagan-কে সংবর্ধনা দিতে এসে East Bengal-কে ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মুখে তাই এদিন শোনা গেল লাল-হলুদ শিবিরেরও নাম। ISL-এ এই বছর East Bengal’র খারাপ খেলার ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মুখে লাল-হলুদের কথা শুনেই দর্শকদের একটা অংশ চিৎকার করে ওঠে। তাঁদের থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ওরা শুরু করেছে, তখন দেরি হয়ে গিয়েছে। ওরা দলটাও ভাল করে তৈরি করতে পারেনি। কারণ, ওদের আর্থিক অসুবিধা ছিল। কিন্তু মোহনবাগান খেলাটা আগেই খেলে দিয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার তো টাকার অভাব নেই। ওরা নানা রকম ভাবে সাহায্য করে। বরঞ্চ বাড়তি সাহায্য করে ক্লাবটাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’