এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যের ডাকে সাড়া, বাংলার ১২ হাজার সংস্থার কর মীমাংসা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘোষণা করা হয়েছিল চলতি অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটেই(State Budget)। সেই ঘোষণা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) করলেও তার পিছনের মূল হোতা তথা মাথা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর সেই উদ্যোগ রাজ্যের কোষাগারে বাড়তি টাকা আনার দরজা খুলে দিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কর মীমাংসার(Tax Solution) প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেইমতো যেসব সংস্থার কর সংক্রান্ত মামলা বিভিন্ন ট্রাইবুনাল বা কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে, তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে মীমাংসায় আসতে পারার সুযোগ পেয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিলেই কর সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তির সুযোগও তৈরি হয়। এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের সেই প্রস্তাবে বিপুল সাড়া পড়েছে বাংলা(Bengal)জুড়ে। এখনও পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি সংস্থা এই স্কিমে তাদের কর সংক্রান্ত মীমাংসা করেছে।

আরও পড়ুন বঙ্গে ৩২ হাজার স্বনির্ভরগোষ্ঠীর ৩৬০ কোটি টাকার ঋণ বকেয়া

চলতি অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় চন্দ্রিমা ঘোষণা করেছিলেন GST চালুর আগে কর সংক্রান্ত যে বিরোধগুলি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে কিন্তু নিষ্পত্তি হয়নি, সেগুলির বকেয়া করের ১৫ শতাংশ মেটালে সংস্থাগুলির কর মীমাংসিত বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ওই সংস্থাগুলি তাদের আর্থিক বিবরণী আরও অনেক বেশি স্বচ্ছ রাখতে পারবে। এই কর মীমাংসিত হলে শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনেকটাই আর্থিক চাপ থেকেও মুক্তি দেবে। VAT, CST, Sales Tax প্রভৃতির ক্ষেত্রে এভাবে বিরোধের মীমাংসা করা যাবে মাত্র ১৫ শতাংশ কর মিটিয়ে। এক্ষেত্রে Penalty, Interest, Late Fee বাবদ যেটুকু বকেয়া আছে, সেখানেও ১০০ শতাংশ রেহাইয়ের সুযোগ পাবেন করদাতারা। Entry Tax’র ক্ষেত্রেও বকেয়া করের ৫০ শতাংশ মেটালেই মীমাংসা সম্ভব হবে। VAT, CST, Sales Tax’র ক্ষেত্রেও Penalty ও অন্যান্য বকেয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। Transport Company গুলিও রাজ্য সরকারের এই স্কিমের আওতায় আসতে পারবে। সেক্ষেত্রে কর বকেয়া রাখার জন্য যে Penalty দেওয়ার কথা, তার ২ শতাংশ বা ১৫ হাজার টাকা— দু’য়ের মধ্যে যেটি কম, সেটুকু মিটিয়ে দিলেই হবে।

আরও পড়ুন পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে হাজার কিমি রাস্তা নির্মাণ শেষ

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ট্রাইবুনাল ও কার্টে এখনও প্রায় ২৫ হাজার মামলা ঝুলে আছে। সেগুলিরই নিষ্পত্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে ৩১ মে পর্যন্ত এর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তা চলতি মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে এই স্কিমে। নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, এক্ষেত্রে কতটা রাজস্ব এল, তা বড় কথা নয়। মামলাগুলির মীমাংসা না-হলে সরকারকে তার দিকে নজর দিতে হয়। তাতে কর আদায়ের দক্ষতা কমে। GST চালুর পরে দেশের আর কোনও রাজ্যই আগেকার কর ব্যবস্থা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাচ্ছে না। কিন্তু আগেকার কর ব্যবস্থায় প্রচুর মামলা ঝুলে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সব মামলার ক্ষেত্রেই মীমাংসার পথে হাঁটার রাস্তা দেখান যাতে সংস্থাগুলি মামলা থেকে রেহাই পায় আবার রাজ্যের কোষাগারেও টাকা আসে। দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ১২ হাজারেরও বেশি সংস্থা সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই কর সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করে ফেলেছে। এদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প। প্রকল্পটি চালু থাকবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। অর্থদপ্তরের কর্তাদের আশা, আইনি পরামর্শ নিয়ে এবার বড় সংস্থাগুলিও এই স্কিমে আসবে। সেক্ষেত্রে স্কিমের মেয়াদ চলতি অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তীব্র গরমের কারণে পুলিশকর্মীদের রোটেশন পদ্ধতিতে ডিউটি বণ্টনের প্রস্তাব

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর