নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) পালা মিটে গিয়েছে এক মাস আগেই। আদালতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মামলা চললেও অধিকাংশ মামলাই কার্যত নিষ্পত্তির পথে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছে আগামী ১৬ অগাস্টের মধ্যেই রাজ্যের সব গ্রাম পঞ্চায়েতে(Gram Panchayat) বোর্ড গঠন করতে হবে। সেই সঙ্গে এই মাসের মধ্যে প্রতিটি জেলার পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদেও নতুন বোর্ড গঠনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই অবস্থায় বস থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে ঘুরছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের মাথা কারা হতে চলেছেন। অর্থাৎ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান পদে কারা বসতে চলেছেন, কারাই বা কর্মাধ্যক্ষ হচ্ছেন এই বিষয়ে কৌতুহল কার্যত তুঙ্গে উঠেছে। এই অবস্থায় তৃণমূল(TMC) সূত্রে জানা গিয়েছে, পদে বসানোর ক্ষেত্রে এবার এগিয়ে থাকছেন দলের আদি নেতানেত্রীরাই।
আরও পড়ুন ঝাড়গ্রামে ১৫৮ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দলের কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান পদে কে বা কারা কারা বসবেন তা ঠিক করতে গিয়ে এটা যেন দেখে নেওয়া হয় সেই ব্যক্তি বা মহিলা কতদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর পারিবারের রাজনৈতিক ইতিহাস(Political History of Family) কী? সেই পরিবার কী তৃণমূলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে এসেছে? সেই সঙ্গে দেখতে বলা হয়েছে জয়ী প্রার্থীদের পরিবার কতদিন ধরে দলের সঙ্গে রয়েছে, এলাকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা কেমন সেই বিষয়গুলিও। আর এই সব বিষয় খতিয়ে দেখে যখন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান পদে কাউকে বসানো হবে তখন এটা পরিষ্কার যে একদম শেষ মুহুর্তে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস বা অন্যদল থেকে কেউ তৃণমূলে এসে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান হতে পারবেন না। সেই ক্ষেত্রে দলের সব শর্ত মানতে গেলে দলের আদি নেতাকর্মীদের পরিবারকেই গুরুত্ব দিতে হবে। সেখানে আয়ারাম গয়ারামদের প্রধান্য আর থাকবে না।
আরও পড়ুন মমতার বাংলায় এবার আত্মনির্ভর পঞ্চায়েত, নজরে আর্থিক স্বনির্ভরতা
তবে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বই মুখ বেছে নিচ্ছেন। তা সে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হোক কী সহ সভাধিপতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হোক কী সহ সভাপতি। কলকাতা থেকেই ওই সব পদে কে বা কারা কারা বসবেন সেটা মুখ বন্ধ খামে লিখে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা নেতৃত্বদের কাছে। সেই সঙ্গে পরিষ্কার বলে দেওয়া হচ্ছে সভাপতি, সহ সভাপতি, সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি পদের নাম ঘোষণা করতে হবে যেদিন ওই পদের জন্য নির্বাচন হবে সেইদিন। তার আগে ওই মুখবন্ধ খাম কেউ খুলতে পারবে না। দলের জয়ী সব প্রার্থীদের সামনেই সেই খাম খুলতে হবে। তবে প্রায় সব স্তরেই এবার নতুন মুখ প্রধান্য পেতে চলেছে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের পদে বসানোর ক্ষেত্রেও।