নিজস্ব প্রতিনিধি: অধীর আগ্রহে চেয়ে রয়েছেন জঙ্গলমহলবাসী। কেননা প্রায় ১ বছর বাদে এবং সদ্য সদ্য হয়ে যাওয়া রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের(Jhargram) মাটিতে পা রাখতে চলেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আগামিকাল আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস(International Tribal Day)। সেই উপলক্ষ্যেই ঝাড়গ্রামে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকালেই তিনি রওয়ানা দেবেন কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামের পথে। তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঝাড়গ্রামবাসী সহ জঙ্গলমহলের(Jungalmahal) জনতা। প্রস্তুত জেলা পুলিশ ও প্রশাসনও। আগামীকাল, বুধবার ১৫৮ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা তাঁর। এছাড়াও ওইদিন প্রায় ৫০০ আদিবাসীর হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান হবে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের মাঠে। সেই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ৭২ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন। এখন সেই সব কিছুর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন ৬ বছরে খরচ ৯০০০ কোটি, পরিষেবায় উপকৃত ৬০ লক্ষ, রেকর্ড মমতার স্বাস্থ্যসাথীর
সামনেই লোকসভা নির্বাচন(General Election 2024)। সেই নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন তৃণমূলকে যে বড়সড় ডিভিডেন্ড এনে দেবে সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হাউসিং কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ১৩টি জল প্রকল্প (৮ কোটি টাকা), ১৩টি হেল্থ সেন্টার (৪ কোটি টাকা), চেক ড্যাম (২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা), আদিবাসী মহিলা হস্টেলের (২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা) উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে জেলা পরিষদের উদ্যোগে তৈরি ৬০টি রাস্তা, কনকদুর্গা মন্দিরের গেস্ট হাউস, বনদফতরের উদ্যোগে হাতি হামলার সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি পাওয়ার ফেন্সিংয়েরও আগামিকাল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরদিকে, তারাফেনী নদীর ওপর ব্রিজের শিলান্যাস করবেন তিনি। জেলা পরিষদের একাধিক রাস্তা ও ভেন্টেড কজওয়ের শিলান্যাসও করবেন তিনি। এবারেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সবচেয়ে বেশি রাস্তার উদ্বোধন ও শিলান্যাস হবে। সেই লিস্টে বিভিন্ন এলাকার ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজগুলি তৈরি হলে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য জেলার বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর শিলান্যাস করা বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন বাংলায় শিশুদের অপুষ্টির হার ১০ মাসে কমল ৪ শতাংশ
ঝাড়গ্রাম এদিন পা রেখে রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য থাকছে তালের বড়া সহ রকমারি খাবারের আয়োজন। ইতিমধ্যেই রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। রাজবাড়ির চারিপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। গোটা রাজবাড়ি চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তারা ইতিমধ্যেই রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের দখল নিয়ে নিয়েছেন। বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের সব ধরনের খাবার রাখার ক্ষেত্রে। মুখ্যমন্ত্রী পোস্তর বড়া খেতে ভালোবাসেন। আগেরবার এসেও মুখ্যমন্ত্রী পোস্তর বড়া খেয়েছিলেন। সেইসঙ্গে মুড়ি, চিড়ে, বাদামভাজাও রাখা হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যা খেতে চাইবেন, সেই পদই তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখা হবে না।
