নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরে এখন একটাই প্রশ্ন কবে সিসিটিভি বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে। তবে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এর বক্তব্য একপ্রকার দায় ঠেলার মত বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মঙ্গলবার বললেন, ‘‘আমরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরা তো আর সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারি না। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেটি সরকারি সংস্থা। এ বার তারা কী করছে, কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের কাঁধেই দায় বর্তিয়েছে।
গত বুধবার উপাচার্য মন্তব্য করেন, সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।ওয়েবেলের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে জানান তিনি। পাশাপাশি জানা যায়, ক্যাম্পাস ও হোস্টেল চত্বরে সিসিটিভি বসানোর স্থানগুলি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাঝে উপাচার্যের বক্তব্যে অনিশ্চয়তার সুর। ওয়েবেল এব্যাপারে দেরি করছে কিনা সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, ‘‘ওয়েবেলের মতো নামী সংস্থা টালবাহানা করবে কি করবে না বা করছে কি করছে না সেটা তো আমাদের দেখার কথা নয়। জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। আর একটি নামী সংস্থাকেই দায়িত্ব দিয়েছি। তার ওপর সেই সংস্থা সরকারের। আমরা বলেছিলাম যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। এর পর আর আমরা কী করতে পারি?’’
সরকারি সংস্থার তরফে টালবাহানা করা হচ্ছে কিনা সে প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “সরকারি সংস্থা হলে টেন্ডার না দিলেও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কেন না বাজেটটা তো সরকারের কাছ থেকেই আসবে। সরকার না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টি যেহেতু রক্ষণাবেক্ষণের তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে তার রক্ষণাবেক্ষণের বাজেট থেকে এই খরচ দিতে হবে। সেটা ছাত্রদের ফেলোশিপ থেকে খরচ করা হবেনা।“
সম্প্রতি সিসিটিভি বসানো নিয়ে উপাচার্যকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই চাপেই কি নতি স্বীকার কর্তৃপক্ষের? নাকি সংস্থাকে টেন্ডারই দেওয়া হয়নি? এই প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ইউজিসিও নিরাপত্তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করে। যদিও সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি ইউজিসি।