নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই বোনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এখন দুই বাংলার(Bengal) শাসক সেই দুই বোনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। দুই বাংলার দুই মেয়ের হাতেই এখন দুই দেশের সুসম্পর্ক অনেকটাই নির্ভর করছে। এবার ঈদের আবহে বড় বোন আম পাঠালেন ছোট বোনের জন্য। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী(Bangladesh PM) শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী(West Bengal CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ১২০০ কেজি আম(Mango) পাঠিয়েছেন। যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে এসেছে সেই আম। স্বভাবতই খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে। চলতি বছরেই ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। তবে তাঁর সেই সফরে কলকাতা বা এপার বাংলায় কোন কর্মসূচী নেই এখনও। তবে শেষ মুহুর্তে যে তাতে কলকাতা ঢুকে পড়বে না সেটা জোর গলায় কেউ বলতে পারছে না।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিউটাউনে প্রত্যাহার ৫০০টাকার Traffic Fine
মমতাকে নানা সময়ে নানা উপহার পাঠিয়েছেন হাসিনা। মমতাও যখনই হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন তখনই তাঁর জন্যও উপহার নিয়ে গিয়েছেন। এবারেও মমতাকে আম পাঠানোর মধ্যে তাই অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না কেউই। তবে মমতা-হাসিনার সুসম্পর্ক যে সব সময় উজানেই বয়ে চলেছে এমন কিন্তু নয়, পরিস্থিতির স্রোতে কখনও কখনও তা ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার জলবন্টন প্রসঙ্গে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি হওয়ার সম্পন্ন কথা ছিল। অস্থায়ী চুক্তির মেয়াদ ছিল ১৫ বছরে। চুক্তি অনুয়ায়ী তিস্তার জলের ৩৭.৫ শতাংশের ওপর অধিকার থাকত বাংলাদেশের, আর ৪২.৫ শতাংশ জলের অধিকার পেত ভারত। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন কে যাবেন রাজ্যসভায়, কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু বঙ্গ বিজেপিতে
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেই সময়েই চুক্তি সাক্ষতিত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি মমতা বেঁকে বসায়। ২০১৪ সালে ভারত সফরে আসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হয়। সেই সফরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন হাসিনা। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিস্তা চুক্তিতে সায় দেননি। নেপথ্যে ছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের পানীয় জলের চাহিদা ও চাষবাসের জন্য প্রয়োজনীয় জল। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গ শুকিয়ে যাবে। তাই মমতা এই প্রস্তাবে এখনও রাজী নন। তবে হাসিনাও হাল ছাড়ছেন না। এই বছরে তিনি ভারত এলে ফের এই চুক্তির প্রসঙ্গটি উঠবে।