এই মুহূর্তে




হাওড়ায় সরকারি খাসজমিতে আস্ত কারখানার হদিশ, দেওয়া হচ্ছে নোটিস

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) খাসজমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তার জেরেই সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জমি’ লেখা বোর্ড লাগানো শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। এই অভিযান যখন চলছে, তখন হাওড়ায়(Howrah) সরকারি খাসজমিতে আস্ত কারখানা তৈরি হওয়ার ঘটনা সামনে চলে এসেছে। শুধু কারখানাই নয়, গুদামও তৈরি হয়েছে সরকারি জমিতে। সেই গুদাম ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া জেলার সদর মহকুমার মধ্যে থাকা বালি-জগাছা ব্লকে(Bally Jagacha Block) বিঘার পর বিঘা সরকারি জমিতে এমন গুদাম, কারখানা-সহ বিবিধ নির্মাণ(Illegal Construction) মাথা তুলেছে। বালি পুরসভার যে অংশ লিলুয়া এলাকার মধ্যে পড়ে, সেখানেই এই দখল এবং বেআইনি নির্মাণ ‘ভয়ানক’ আকার নিয়েছে বলে প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য। 

গল্প এখানেই শেষ নয়। বরং সামনে এসেছে, ভূমিসংস্কার দফতরের নথিতেও সরকারি খাসজমি ব্যক্তিবিশেষের নামে রেজ়িস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শাসকদলেরই একটা বড় অংশের নেতাদের। তাদের বক্তব্য, সরকারি আধিকারিকেরা নেপথ্যে না থাকলে এই ধরনের নথিভুক্তকরণ বা রেজিস্ট্রেশন সম্ভব নয়। এদের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন দলেরই দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর। হাওড়ার জেলাশাসক ডি প্রিয়ার বক্তব্য, ‘প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। যারা জমি দখল করে রেখেছেন, তাঁদের আমরা নোটিস পাঠানো শুরু করেছি।’ কবে দখল হল এই জমি? বালির তৃণমূল বিধায়কের দাবি, দখলের অনেকটাই শুরু হয়েছিল বাম জমানায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই প্রশাসন নেমে পড়েছে বেহাত জমি উদ্ধারে। তাঁর দাবি, ফাঁকা জায়গা ঘিরে অনেক সময়ে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বোঝা যায়নি ভিতরে কী হচ্ছে। যদিও এই যুক্ত মানতে নারাজ অনেকেই। বরঞ্চ তাঁদের দাবি রানা বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই এই ঘটনা বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দাবি, বালি, বেলুড়, লিলুয়ায় সরকারি জমি দখল লাগামহীন পর্যায়ে গিয়েছে ২০২১ সালের পর থেকে। বালিতে এই দখল সাংঘাতিক ভাবে হলেও এই চক্রের সঙ্গে শুধু বালির লোকজন যুক্ত নয়। অনেকেই আছেন যারা বালির আশেপাশেই থাকেন। এরা শুধু সরকারি জমি দখল করছে তাই নয়, পুকুর, ডোবা, কচুরিপানা, নর্দমা, মাঠ— কিচ্ছুই বাদ দিচ্ছে না দখল করার জন্য। হয় বুজিয়ে না হয় খুঁড়ে নির্মাণ তুলে দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় বিজেপি এবং সিপিএমের লোকজনও জমি সিন্ডিকেটে যুক্ত। অর্থাৎ সবই হচ্ছে মিলেজুলে, বোঝাপড়া করে এই সব চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন এই সব বেআইনি নির্মাণের মালিকদের নোটিস ধরানোর পাশাপাশি কারখানা হোক বা গুদাম, ফ্ল্যাট হোক কী বাড়ি, সামনে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারি বোর্ড। যাতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ওই জমির মালিক পশ্চিমবঙ্গ সরকার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর