নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা মৃত্যুর ঘটনায় অনেকগুলো প্রশ্ন উঠে এল সামনে। পুরনিগমের তরফে বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল বাড়ির দেওয়ালে। তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে প্রায় ৩০-৪০ জন বাসিন্দা বসবাস করছিলেন। একটা মৃত্যুর পরে এখন কলকাতার(Kolkatta) পাথরিয়াঘাটায়(Pathariaghata) প্রশ্ন ঘুরছে কেন ছিল ঝুঁকির বাস? বুধবার মাঝরাতে উত্তর কলকাতার পাথরিঘাটায় একটি বিপজ্জনক বহুতল বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। প্রায় ১০০ বছরের পুরাতন ওই ৫ তলা বাড়ির তিন তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বিকট শব্দে বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন এক দম্পতি এবং এক নাবালক। দমকলের সাহায্যে রাত তিনটে নাগাদ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুন নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে যান নিয়ন্ত্রণ বিদ্যাসাগর সেতুতে
জানা গিয়েছে, বাড়িটির দেওয়াল মাস ৬ আগেই ভেঙে পড়েছিল। কার্যত সেই সময়েই কলকাতা পুরনিগমের(KMC) পক্ষ থেকে ওই বহুতলটিকে বিপজ্জনক বাড়ি(Dangerous House) হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল বাড়ির দেওয়ালে। তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে প্রায় ৩০-৪০ জন বাসিন্দা বসবাস করছিলেন। কেন এই ঝুঁকির বসবাস চলছিল, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও ওই সব বাসিন্দারা দুর্ঘটনার পর বাড়িটির মালিকপক্ষ এবং পুরনিগমের ওপর তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এক সপ্তাহ আগেও বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। গত ২০ বছর ধরে বাড়িটিতে কোনও মেরামতের কাজ হয়নি। বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। বাড়িটি সারানোর মতো ক্ষমতা তাঁদের নেই। বাড়িটির হাল ক্রমে খারাপ হতে থাকলেও তাঁদের কিছু করার ছিল না। মালিক বা পুরনিগম কখনই কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিকে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর নাম ইলোরা আগরওয়াল।