নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে গ্রেফতার হলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করার জন্য অভিযুক্ত বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আলিপুর আদালতে তুলেছেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নাম উঠে এসেছিল বাগদার রঞ্জন মণ্ডলের। মূলত তিনি মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। একাধিকবার তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবারই তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন আদালতে রঞ্জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে সিবিআই। রঙজন ছাড়াও এদিন সিবিআই আরও তিনজনকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তিন ধৃতের নাম কৌশিক ঘোষ, শেখ সাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম।
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস প্রথম বাগদার রঞ্জনের নাম প্রকাশ্যে আনেন। সম্প্রতি সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের সূত্র সেদিন জানায়, তাঁকে গ্রুপ ডি নিয়োগের একটি মামলায় জেরা করা হয়। যদিও রঞ্জন মণ্ডল সেই সময় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁকে উপেন বিশ্বাস ফাঁসিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এই দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও সিবিআইয়ের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতির দালাল অভিযোগে ধৃত প্রসন্ন রায়কে জেরা করে তাঁর সঙ্গে যে রঞ্জনের যোগাযোগ রয়েছে, সেই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। রঞ্জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি করে দিয়েছিলেন তিনি। সাদা খাতায় চাকরি, কম মেধার যুবক যুবতীদের চাকরি, কম নম্বর পেয়েও চাকরি—এই তিন ক্ষেত্রেই বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ।