এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পেটের দায়ে রাজনীতি ছাড়ছেন রুদ্রনীল ঘোষ

নিজস্ব প্রতিনিধি: পেটের দায় বড় দায়। পেট না ভরলে কিছুতেই কেউ ভালো থাকতে পারে না। আর সেই পেট ভরাতে প্রয়োজন হয় কাজের। কিন্তু রাজনীতির(Politics) কারণে যদি কাজটাই না জোটে তখন কী হবে! তাই কাজের খোঁজে বিদায় জানতেই হয় রাজনীতিকে। টলিউডের(Tollywood) অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের(Rudranil Ghosh) এখন তেমনই দুর্বাস্থা। বিজেপি করায় তিনি নাকি কাজ পাচ্ছেন না টলিউডে। পেটের খাবার জোগাড় করা যাচ্ছে না বলে এবার তাই রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়ে দিলেন রুদ্রনীল। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি করেই পেটের দায়ে রাজনীতি ছাড়ছেন নাকি রাজনীতির মঞ্চে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন সেটা বুঝেই রাজনীতি ছাড়ার বার্তা দিলেন এই অভিনেতা। নিন্দুকদের দাবি, এপাং ওপাং ঝপাং করে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন রুদ্রনীল। তাই সবাই মুখ ফেরাচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই নিজের মুখ বাঁচাতে এখন অভিযোগ তুলছেন বিজেপি(BJP) করার দায়ে তিনি কাজ পাচ্ছেন না, তাই রাজনীতি ছাড়ছেন।

রুদ্রনীলের দাবি, তিনি বিজেপি করছেন বলেই টলিউডে নাকি তিনি কাজ পাচ্ছেন না। প্রায় দেড় বছর তাঁর হাতে নাকি কোনও সিনেমা বা সিরিজের কাজ নেই। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘যদি রুজি-রুটির জায়গাটা বন্ধ করে দেওয়া হয় বিরোধী রাজনীতি করার অপরাধে, তখন তো মানুষকে ভাবতেই হবে। প্রিয় কাজটিকে আগলে রাখার জন্য রাজনীতি থেকে তাঁকে অব্যাহতি নিতেই হবে। পরিচালক-প্রযোজক বন্ধুরা, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, তাঁরা পরিষ্কার করে বলেছেন বিজেপিটা ছেড়ে দে, নইলে তোকে কাজে নিতে অসুবিধা হচ্ছে। শুধু শাসকদলের ঘনিষ্ঠরাই কাজ পেয়ে যাবেন। মাচা, ফাংশন পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে শাসকদলের দোষ-ত্রুটি নিয়ে কথা বললেই কায়দা করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই যে বিরুদ্ধ কণ্ঠের পেটে টান পড়লেই চুপ হয়ে যাবে। এমন আবহ পশ্চিমবঙ্গের রুচি বা সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না।’

যদিও টলিউডের নানা প্রযোজক ও প্রযোজনা সংস্থার দাবি, রুদ্রনীলের ফোকাসটাই গত কয়েক বছরে অভিনয় থেকে সরে গিয়েছে। সবাই যখন নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তখন রুদ্রনীল অভিনয়কে বাইপাস করে রাজনীতির মাঠে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। প্রথমে তিনি ছিলেন বাম, পরে আসেন তৃণমূলে, সেখান থেকে আবার ঝাঁপ দেন বিজেপিতে। বার বার এই শিবির বদল রাজ্যের আমজনতা মেনে নিতে পারেননি। বরঞ্চ তাঁদের মনে হয়েছে রুদ্রনীল সুযোগসন্ধানী হয়ে পড়েছেন। তৃণমূল থেকে তিনি সাংসদ বা বিধায়ক হতে পারেননি বলেই ঝাঁপ দিয়েছেন বিজেপিতে, যদি সেখানে শিকে ছেঁড়ে এই মনোভাব নিয়ে। কিন্তু সেখানেই জমাট বাঁধতে পারেনি। বিজেপি কোনও সভা, মিছিল, মিটিংয়েই তাঁকে সেভাবে দেখা মেলে না। তাই রাজনীতির ময়দান থেকেও কিছু পাননি। এখন উনি দোষ দিচ্ছেন তৃণমূলকে(TMC) যে তাঁরা কাজ করতে দিচ্ছে না বা কাজ পেতে দিচ্ছে না। কিন্তু সেই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। রাজনীতির রঙ দেখে টলিউডে কেউ কাজ পায় না বলেই দাবি প্রযোজকদের ও প্রযোজনা সংস্থাগুলির।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাংসদ হিসাবে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে শুক্রে মনোনয়ন জমা অভিষেকের

রাণাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর হয়ে প্রচারে দেব

কেন লকেটের বিরুদ্ধে ‘অনভিজ্ঞ’ রচনা, খোলসা করলেন মমতা

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

অপরাধ এবং হত্যা সম্পর্কিত সিনেমাই এখন মানুষ বেশি দেখে: আশুতোষ রানা

ভক্তদের ভিড়ে রক্তারক্তি, কাঁধে-ঘাড়ে আঁচড়, অনুষ্ঠানে গিয়ে বিপাকে অনামিকা সাহা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর