নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের জেরে নেমে আসা লকডাউনের সময়ে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের(Students) পড়াশোনা চালাতে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চালু করে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প(Taruner Swapna Project)। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের Tab প্রদানের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে তাতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও যুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে লকডাউনের পরেও এখনও পর্যন্ত সেই প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের(State Education Department) নজরে এসেছে যে, যত সংখ্যক উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া Tab পেয়েছে তত সংখ্যক পড়িয়া কিন্তু মূল পরীক্ষায় বসেনি। আর তাই এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাতে Tab পাওয়ার পরেও ঠিক কত সংখ্যক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মূল পরীক্ষায় বসেনি তা খুঁজে দেখা হবে। সেই সঙ্গে কেন তারা পরীক্ষায় বসেনি সেটাও খুঁজে দেখা হবে।
জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি অনুসন্ধান করতে রাজ্যের সব উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিকে রাজ্যের শিক্ষা দফতর একটি নির্দেশ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে Tab কেনার টাকা পেয়েও ঠিক কত সংখ্যক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মূল পরীক্ষায় বসেনি ও কেন বসেনি তা জানাতে। শুধু আগের বছরের হিসাবই নয়, চলতি বছর কতজন হাতে Tab পাওয়ার পরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত বসছে না সেই হিসাবও জানাতে বলা হয়েছে। হিসাব দেখাবার জন্য স্কুলগুলিতে একটি ফর্ম পাঠানো হয়েছে। সেই ফর্মে ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট সংখ্যা লিখে তা শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে। উল্লেখ্য, ‘ তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রত্যেক মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পড়াশোনা করে গরিব এবং প্রান্তিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা। তাঁদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতেই নতুন এই নীতি গ্রহণ করেছিল রাজ্য। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে শিক্ষা দফতর প্রত্যক্ষ করেছে, ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থ পাওয়ার পর বহু ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বসছেন না।