নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ অর্থাৎ রবিবার ২ জুলাই পূর্ণ হল ১ মাস। ঠিক ১ মাস আগে ২ জুন ওড়িশার(Odisha) বালেশ্বরের(Balasore) কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার(Coromondol Express Accident) মুখে পড়ে হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনায় জীবন কেড়েছে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ২৯৬জনের। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা হাজারের ওপরে। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে অনেক দেহ পাচার করে দেওয়া হয়েছে। যদিও রেল তা মানতে নারাজ। সেই দুর্ঘটনার ১ মাসের মাথায় এখনও নিখোঁজ হয়ে আছেন বাংলার(Bengal) প্রায় ৪২জন বাসিন্দা। এদের মধ্যে শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলাতেই নিখোঁজের সংখ্যা ১৫। এই সব মানুষেরা নিখোঁজ থাকার কারণে যেমন ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি তেমনি পায়নি কোনও সরকারি সাহায্যও।
আরও পড়ুন বিজেপি এগিয়ে থাকলে ইচ্ছামতী কী আর হবে, উঠছে প্রশ্ন
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় স্বজন হারানো পরিবারগুলির ১৭ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। রেলমন্ত্রকের তরফে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৃতদের পরিবারকে দিচ্ছে ৫ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ২ লক্ষ টাকা। এর বাইরে আছে তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া আরও ২ লক্ষ করে মোট ৪ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে ১৯ লক্ষ টাকার প্যাকেজ। একইসঙ্গে আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত নিহতদের পরিবারের ১জনের সরকারি চাকরি প্রদানের বিষয়টিও। কিন্তু যারা এখনও নিখোঁজ থেকে গিয়েছেন তাঁদের পরিবার এই সব সাহায্যের কিছুই পাবেন না, পাচ্ছেনও না। আর তার জেরে এই পরিবারগুলি এখন সব থেকে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকারি ভাবে নিখোঁজ হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে সন্ধান না মিললে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সেক্ষেত্রে এই পরিবারগুলি ২০৩৫ সালের ২ জুনের আগে কার্যত কিছুই পাবে না। এতগুলি বছর কীভাবে চলবে সেটা ভেবেই মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। কার্যত চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আতঙ্কে দিন কাটছে ওই পরিবারগুলির।
আরও পড়ুন উত্তর দিনাজপুরে সংখ্যালঘু ভোটেই এগিয়ে তৃণমূল
জানা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যে ১৫জন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ হয়ে আছেন তাঁদের মধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমার বাসিন্দা আছেন ৬জন, বারুইপুর মহকুমার আছেন ৪জন, ক্যানিং মহকুমার ৩জন এবং আলিপুর সদর ও ডায়মন্ডহারবার মহকুমার ১জন করে বাসিন্দা আছেন। এই সব পরিবারের লোকজন তাঁদের ডিএনএ-র নমুনা দিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও কোনও খবর আসেনি বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। এরাই এখন সব থেকে উদ্বেগের মধ্যে আছেন।