নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar) প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই প্রকল্পের অধীনে মাসিক টাকা পাচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা। তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি ও অনান্য অনগ্রসর শ্রেনীর মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। বাকিরা পান ৫০০ টাকা করে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের(Consumers) সংখ্যাটা হল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন। ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে বিপুল টাকাও খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Legislative Assembly) প্রশ্নোত্তর পর্বে এই সংক্রান্ত তথ্য দিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা(Sashi Panja)। তিনি জানিয়েছেন, এখনও অবধি সরকারের কোষাগার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ায় খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। এছাড়াও সরকারের আরএক প্রকল্প রূপশ্রীতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। যা ২০১৮ সাল থেকে চলছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই জানা গিয়েছিল রাজ্যে এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালাতে বছরে খরচ হচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে ১০৩০ কোটি টাকা। এই টাকার একটা বড় অংশই ফেরত আসছে রাজ্যের বাজারে। যার জেরে আমজনতার কেনাকাটার পরিমাণ বেড়েছে। বাজার তেজি হয়েছে। গ্রাম বাংলার অর্থনীতির চাকা ঘুরে চলেছে। কেন্দ্র সরকার যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে তখন এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই গ্রাম বাংলার অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মাত্র ২৫ বছর বয়স হলেই বাংলার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। ৫৯ বছর বয়স অবধি তাঁরা সেই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেন। ৬০ বছর বয়স হলেই তাঁদের নাম রাজ্য সরকারের নিজস্ব বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প ‘জয় বাংলা’-তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। সেই সূত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সব উপভোক্তাই ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করেই পারবেন। তখন আর সাধারন ঘরের মহিলাদের সঙ্গে তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি ও অনান্য অনগ্রসর শ্রেনীর মহিলাদের কোনও ফারাক থাকবে না।