নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় ২ বছর ধরে কোভিডের কারনে বন্ধ ছিল রাজ্যের সব প্রতিষ্ঠান। এখন সেই কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ কমতির দিকে হাঁটায় আবারও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে রাজ্যের জনজীবন। এই রকম অবস্থায় রাজ্য সরকারও ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুলের অষ্টম শ্রেনী থেকে দ্বাদশশ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজাও। আর এই সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যাল্যয়ের পড়ুয়ারাই শনিবার নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেতে উঠল বাগদেবীর আরাধনায়। বস্তুত কিছুদিন আগেই নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা। সেই সময়েই তিনি জানিয়েছিলেন, সরস্বতী পুজোর কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এদিন কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে খোলা মনেই স্বাগত জানিয়েছে সব পড়ুয়ারাই।
এদিন সকাল থেকেই স্কুলে স্কুলে, কলেজে কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা বেশ সেজেগুজে চলে আসে পুজো দেখতে, পুজোয় সামিল হতে। শাড়ি, সালোয়ারের পাশাপাশি ছিল পাঞ্জাবি পাজামা, কুর্তা পাজামা, ধুতি পাঞ্জাবির ভিড়। তবে এবছর কোভিডের জন্য কার্যত কোনও স্কুলেই খাওয়াদাওয়ার কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই কিছুটা হলেও মন খারাপ স্কুল পড়ুয়াদের। তবে সেই আক্ষেপ মিটেছে স্কুলে স্কুলে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখে আর বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা মেরে। আবার কলেজে কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানে তো পুরো প্রেম দিবসের ছবি। প্রথম দেখা, প্রথম ছোঁয়া, প্রথম চুমু থেকে প্রেম নিবেদনও চলেছে অকাতরে। কার্যত দুই বছর ঘরবন্দী থেকে বাঙালির আর বাংলার চিরাচরিত সরস্বতী পুজোর ছবিটাই এদিন আবারও ধরা পড়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্দরে বাহিরে। আর একই সঙ্গে এদিন দিনভর চলেছে চুটিয়ে সেলফি তোলার পালা।