নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) ইউক্রেন(Ukraine) ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের রাশিয়ায়(Russia) পড়তে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি(Private Agency)। শুধু যে প্রস্তাব দিচ্ছে তাই নয়, কোর্স ফি ও বিমান ভাড়ার খরচের সঙ্গে নিজেদের কমিশনের টাকাটাও কড়ায়গণ্ডায় গুণে নিচ্ছে তাঁরা। ইউক্রেন থেকে বাংলায় ফেরত আসা প্রায় সব পড়ুয়াদেরই নামধাম ঠিকানা ফোননম্বর জোগাড় করে এই সব প্রস্তাব দিচ্ছে ওই এজেন্সিগুলি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পড়ুয়া এই সব প্রস্তাবে সায় দিয়ে রাশিয়া পাড়ি দিয়েছে তাঁদের পাঠ্যক্রম শেষ করার জন্য। আবার কেউ কেউ রীতিমত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনে ফেরত গিয়েছেন নিজেদের কোর্স শেষ করার জন্য। তবে বেশির ভাগ পড়ুয়াই ভরসা রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ওপর। তাঁরা রয়ে গিয়েছেন বাংলাতেই। ইউক্রেন ফেরত রাজ্যের পড়ুয়াদের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেউ কেউ ইন্টার্ন হিসাবেও কোনও কোনও হাসপাতালে কাজ করছেন। তাঁর খুশি যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথা রেখেছেন।
আরও পড়ুন ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ গিয়ে জুটছে চড় থাপ্পড়
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। সেই যুদ্ধের জেরেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়ে গিয়েছিল ভারতের কয়েক হাজার পড়ুয়া। সেই সব পড়ুয়াদের অনেকে আবার বাংলার ছেলেমেয়ে। ডাক্তারি পড়তে যাওয়া সেই পড়ুয়াদের নিরাপদে দেশে ফের ফিরিয়ে আনাও ছিল যেন আরেকটা যুদ্ধ। তবে সেই সময় থেকেই এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই রুশ সরকার জানিয়েছিল, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সমখরচে তাদের দেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। রুশ সরকারের এই ঘোষণার পর সক্রিয় হয়ে ওঠে কিছু এজেন্সি। তবে শুধু যে রুশ এজেন্সিরাই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল তা নয়, ইউরোপের আরও কিছু দেশও একই বার্তা দিয়েছিল। খরচের দিক থেকে দেখতে গেলে কম-বেশি প্রায় একই ছিল। এখন মূলত রাশিয়ার এজেন্সিগুলিই চেষতা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন ফেরত বাংলার পড়ুয়াদের সেদেশে নিয়ে গিয়ে তাঁদের কোর্স ও ইন্টার্নশিপ শেষ করানোর জন্য। ইতিমধ্যেই সেই সব এজেন্সির ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার কিছু পড়ুয়া রাশিয়া গিয়ে তাঁদের পঠনপাঠন শেষ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন চড় কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী নন, সাফাই রথীনের
তবে বেশির ভাগ পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রেখে রয়ে গিয়েছে বাংলার বুকেই। এরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রসস্তি করতেও ভুলছেন না। এরা রাজ্যেরই বেশ কিছু সরকারি মেডিকেল কলেজে হয় পড়াশোনা শেষ করছেন বা ইন্টার্নশিপ করছেন। তবে এদের সকলকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফের ইউক্রেনে আরও একবার যেতে হবে ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এরা সকলেই খুশি মুখ্যমন্ত্রীর ওপর যে তাঁর দেওয়া কথা তিনি রেখেছেন। দেশের মধ্যেই তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি শুধু মানবিক ভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাই নয়, তাঁদের পড়াশোনার কিছুটা হলেও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।