এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাম-কংগ্রেসের বাড়ল, বিজেপির কেন কমলো – প্রশ্নের মুখে সুকান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) বিজেপি(BJP) শুধু যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাই নয়, কার্যত দল ও সংগঠনের বেহাল দশাও এখন সামনে চলে এসেছ। আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চয়াতের রায় বলছে এবারের ভোটে বাম(Left) ও কংগ্রেসের(INC) ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে। কিন্তু ভোট প্রাপ্তির হার কমেছে বিজেপির। বাম-কংগ্রেস নিজেদের ভোট বাড়াতে পারলেও বিজেপি কেন তা পারল না এখন সেই প্রশ্নের মুখেই পড়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। কেননা সেই প্রশ্ন তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের দাবি, ভোট কমার জন্য সুকান্ত ‘সন্ত্রাস’র কাঁদুনি গাইলেও তা মানতে নারাজ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, বাংলা নিয়ে এ যাবৎকাল পর্যন্ত বিজেপির যে সব নেতারা দিল্লি থেকে এসে বাংলা ঘুরে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরাও প্রশ্নের মুখে পড়েছেন।

আরও পড়ুন RSS’র কথায় কান দিয়ে বঙ্গে বিপর্যয়ের মুখে বিজেপি

গ্রাম বাংলার রায় বলছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) পেয়েছে ৫২ শতাংশ ভোট। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা ছিল ৫৬ শতাংশ। যদিও সেবার অনেক বেশি আসনে ভোটই হয়নি। এবারে সেই ছবি কিন্তু অনেকটাই বদলেছে। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৪৩ শতাংশ ভোট। সেই হিসাবে তৃণমূলের ভোট কিন্তু অনেকতাই বেড়েছে। আবার একুশের ভোটে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল ৪৮ শতাংশ ভোট। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে এবারে তৃণমূলের ভোট বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। উনিশের ভোটে বামেরা পেয়েছিল প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশের কিছু বেশি। একুশের ভোটে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ মিলিত ভাবে পেয়েছিল ১০ শতাংশ ভোট। একা বামেরাই পেয়েছিল প্রায় ৫ শতাংশ ভোট। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের ভোট প্রাপ্তির হার কিন্তু বেড়েছে। একা বামেরাই পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ তাঁদের ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। কংগ্রেস এবারে পেয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ ভোট। একুশের ভোটের তুলনায় তা ৩ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস এই ৩ দলেরই ভোট প্রাপ্তি বেড়েছে।

আরও পড়ুন নন্দীগ্রাম আর শুভেন্দুর নয়, লিড তৃণমূলের

ঠিক তার উল্টো ছবি গেরুয়া শিবিরে। উনিশের ভোটে বিজেপি বাংলায় পেয়েছিল ৪০ শতাংশ ভোট। একুশে সেটাই কমে দাঁড়ায় ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ তখনই বিজেপির ভোট কমে গিয়েছিল ২ শতাংশ। এবারে বিজেপি পেয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ একুশের ভোটের তুলনায় বাংলায় বিজেপির ভোট কমেছে ১৫ শতাংশ। কেন এই বিপুল হ্রাস, সেটাই এখন প্রশ্ন হিসাবে আছড়ে পড়েছে সুকান্তের সামনে। কার্যত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এটা এখন পরিষ্কার যে বাংলায় দলের হাল নিয়ে, সংগঠন নিয়ে, জনপ্রিয়তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির নেতারা বার বার জল মেশানো রিপোর্টই দিয়ে এসেছে। কেননা বঙ্গ বিজেপির নেতারা ভোট কমার জন্য যে সন্ত্রাসকে দায়ী করেছে সেই সন্ত্রাসের মধ্যেও কিন্তু লক্ষ্যণীয় ভাবে বামেদের ভোট বেড়েছে। বেড়েছে কংগ্রেসেরও ভোট। তাঁরা নিজেদের ভোট বাড়াতে পারলে বিজেপি তা পারল না কেন? এটাই এখন প্রশ্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।

আরও পড়ুন Online-এ চাকরি, মোদির ভারতে এগিয়ে মমতার কলকাতা

তবে শুধু সুকান্তই নয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিশানায় চলে এসেছেন বিজেপির একগুচ্ছে নেতানেত্রী যারা দিল্লির কথায় নানা সময়ে বাংলায় এসেছে দলের হাল খতিয়ে দেখতে। বাংলায় ঘুরে ফিরে দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই রিপোর্টও কার্যত জল মেশানো রিপোর্ট। স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, উমা ভারতী, অনুরাগ সিং ঠাকুর, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের মতো দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রীকে বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলায় পাঠিয়েছেন নাড্ডা। এবার তাঁদের রিপোর্টেও কতটা জল মেশানো হয়েছে, তা খুঁজে দেখতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

শ্লীলতাহানি  কাণ্ডে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে তলব লালবাজারের

‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটুসাহেব’, আবারও বোসকে নিশানা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর