নিজস্ব প্রতিনিধি: যশ বিধ্বস্ত বাংলা ও ওড়িশার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বছরের মে মাসে পরিদর্শনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই দিন তিনি বৈঠক করেন কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরেও। সেই বৈঠকে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত না থাকা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। ঘটনার জেরে আলাপনের অবসরের দিনই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। যদিও আলাপন অবসরের পথে হাঁটা দেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনে মোদি সরকার। আলাপন ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চে সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ক্যাট-এর প্রিন্সিপাল বেঞ্চ মামলাটি কলকাতা থেক দিল্লিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্ট ক্যাট-এর সেই স্থানান্তরের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে খারিজ করে আলাপনের মামলাকে দিল্লিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিল।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চলা এই মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের স্পেশাল লিভ পিটিশনকেও গ্রহণ করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্র ওই স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমার গত ২৯ নভেম্বর এই মামলা সংক্রান্ত রায় স্থগিত রেখেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায় তখন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বস্তি দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ক্যাট-এর প্রিন্সিপাল বেঞ্চ দিল্লিতে স্থানান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে হাইকোর্ট ঠিক করেনি। তবে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের হাইকোর্টে আবেদন করার স্বাধীনতা দিয়েছে। এর অর্থ হল, ক্যাট-এর প্রিন্সিপাল বেঞ্চের আদেশকে আলাপন হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।