নিজস্ব প্রতিনিধি: টালা ব্রিজের কাজ শেষ করার জন্য রাজ্যের কাছে ফের বাড়তি সময় চাইল নির্মাণকারী সংস্থা এল অ্যান্ড টি। নির্মাণকারী সংস্থার তরফে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে টালা ব্রিজের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এবার কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারের পর আর বাড়তি সময় দেওয়া সম্ভব নয়।
শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ সেতু সাধারণ মানুষের জন্য জুন মাসে খুলে দেওয়া হবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণকারী সংস্থা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় তা পিছিয়ে গেল আবার। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তারা কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবে বলে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে। আর এটাই শেষ সুযোগ হিসাবে নির্মাণকারী সংস্থাকে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এবার চেয়ে নেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ না শেষ করতে পারলে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ করতে ৪৬৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মাঝেরহাট সেতুর ধাঁচে কেবল স্টেড রেলওভার ব্রিজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে টালা সেতু। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজের মধ্যে ২৪০ মিটার অংশ শূন্যে ঝুলবে। পাশাপাশি নতুন করে এই সেতুতে চারটি লেন করা হচ্ছে। আগে পুরনো সেতুতে তিনটি লেন ছিল। নতুন ব্রিজটি শুধু চার লেন বিশিষ্ট হবে তা নয়। তার দু’পাশেই থাকবে ফুটপাথ।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, ১৯৬৩ সালে নির্মিত টালা ব্রিজের অবস্থা খুব খারাপ। এর পরই ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকেই এই সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সেতুর পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। নির্মাণকারী সংস্থা এল অ্যান্ড টি–কে ৩৫০ কোটি টাকার চুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ভাঙার আগে পুরনো টালা ব্রিজটি ১৫০ টন ভারবহন করতে পারত। রাজ্য পূর্ত দফতরের দাবি, নতুন সেতুটি ৩৮৫ টন ভারবহন করতে পারবে।