এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

TIT FOR TAT, রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই রাজ্য বিধানসভায় বসতে পারে বাজেট অধিবেশন

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যপাল(Governor) রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান(Constitutional Head of the State)। কিন্তু সংবিধানের মতে রাজ্যের মুখ্য চালিকাশক্তি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of the State)। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) জমানায় দেশের একাধিক রাজ্যে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের নিয়োগ করে পদ্মশিবিরের রাজ্যপালরা সেই সব রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্মে নিত্যদিন দখলদারি করছেন। সরকারি সব কাজ, সিদ্ধান্ত আটকে দিতে চাইছেন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে। সেই মামলার রায় গিয়েছে রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে। কড়া ভাষায় তাঁদের নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তবুও ছবিতে বদল আসেনি। বিশেষ করে বাংলায় তো নয়ই। কলকাতার রাজভবনে বসে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। এবার তাই রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারও, পাল্টা রাজ্যপালকে বয়কট করার পথে হাঁটা দিতে চলেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Legislative Assembly) যে বাজেট অধিবেশন(Budget Session) বসতে চলেছে সেখানে রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই অধিবেশন শুরু করানো হতে পারে।

সূত্রের দাবি যদি সঠিক হয় তাহলে বাংলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসে এই প্রথম রাজ্যপালের ভাষণ ব্যতিরেকে বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায়। সাধারণত বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে। আবার বছর শেষের অধিবেশনের পর রাজ্যপালকে তা সবিস্তারে জানানো হয়। তাঁর অনুমতি নিয়েই গোটা বছরের অধিবেশন পর্বের প্রয়োগ বা সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু এখন রাজ্য বিধানসভার সচিবালয়ের সুত্রেই জানা গিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভাষণ থাকছে না এ বছরের শুরুর অধিবেশনে। যদি তা হয় শেষ পর্যন্ত তাহলে সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন বিধানসভার অধিবেশন বৈধ না অবৈধ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে তেমনি তা নিয়ে মামলার জল গড়াতে পারে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করে দেওয়া হচ্ছে অধিবেশন। ফলে স্পিকারের এই ঘোষণার পর পরবর্তী অধিবেশন শুরুর ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হয় না বলেই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই স্পিকার নিজের পদমর্যাদা মোতাবেক অধিবেশন শুরু করতে পারেন। আগামী অধিবেশন তেমনটাই হতে চলেছে।  

আবার এটাও দেখা গিয়েছে, রাজ্যপালের ভাষণে সরকারের প্রশংসা সূচক একাধিক বিষয় থাকে। কোন প্রকল্পের কেমন অগ্রগতি, কোন প্রকল্পে ভালো কাজ হয়েছে, আগামী দিন সরকারের চিন্তা-ভাবনা সবটাই ফুটে ওঠে রাজ্যপালের ভাষণে। কিন্তু ইদানিংকালে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। উপাচার্য নিয়োগ, বিধানসভার বিল আটকে রাখা, পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ নানা ঘটনায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বেঁধেছে। সর্বশেষ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূল অনেক দিন ধরেই বলে আসছে রাজভবনকে বিজেপি পার্টি অফিস হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। রাজ্যপালের বক্তব্যের বিরোধিতা করে পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূলের নেতারা সরব হতেও দেখা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে যতটুকু খবর, তাতে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের মধুর সম্পর্ক এখনও পুরোপুরি হয়নি। সব মিলিয়ে যে পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে, তার জেরেই রাজ্যপালের ভাষণ আপাতত অধিবেশন শুরুর প্রথমে থাকছে না, এমনটাই ওয়াকিবহাল মহলের মত। কার্যত পদ্মপাল রাজ্যপালের জন্য এবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার TIT FOR TAT নীতি নিচ্ছে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর