নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) বাংলার কেরোসিন(Kerosene) জয়। রাজ্যের কেরোসিন বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রতিমাসে সাধারণভাবে রাজ্যে(Bengal) কেরোসিনের বরাদ্দ থাকে ৫৮ হাজার কিলোলিটার। কিন্তু ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের জন্য মাত্র ১৪ হাজার কিলোলিটার করে মোট ২৮ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র(Central Government)। তার জেরে নতুন করে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রয় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, রেশন গ্রাহকদের জন্য কতটা কেরোসিন প্রয়োজন, তা তথ্য সহকারে কেন্দ্রকে জানাবে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। তার ভিত্তিতেই বাংলাকে কেরোসিন বরাদ্দ করতে হবে কেন্দ্রকে। কেন্দ্র সরকার রাজ্যের জন্য কেরোসিন বণ্টন নীতি তৈরি না-করা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে। একইসঙ্গে রাজ্যের বকেয়া কেরোসিন ১০ দিনের মধ্যেই মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে ওই রায়ে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় নীতি তৈরি করে রাজ্যকে কেরোসিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই নীতি তৈরি করেনি কেন্দ্রের পেট্রলিয়াম মন্ত্রক। উল্টে, বাংলার ফেব্রুয়ারি ও মার্চের বরাদ্দ এক ধাক্কায় প্রচুর কমিয়ে দেওয়া হয়। কেরোসিন এজেন্টদের সংগঠন বিষয়টি নিয়ে তাই কলকাতা হাইকোর্টে যায়। তখন পুরাতন বরাদ্দ অনুযায়ী কেরোসিন দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর না-হওয়ায় ফের মামলা হয় সেখানেই। তার প্রেক্ষিতেই উচ্চ আদালতের নতুন নির্দেশ। রাজ্য সরকারকে তার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে আপাতত জানাতে হবে, প্রতিমাসে কতটা কেরোসিন প্রয়োজন। তার ভিত্তিতেই ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেরোসিন বরাদ্দ করতে হবে। রাজ্যে এখন প্রায় ৯ কোটি রেশন গ্রাহকের মধ্যে ১ কোটি ১২ লক্ষের জন্য মাসে মাথাপিছু ১ লিটার এবং বাকিদের জন্য ৫০০ মিলি হারে বরাদ্দ থাকে। রাজ্য সরকার এই ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে কেরোসিন চাইবে বলেই মনে করা হচ্ছে।