নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈদের(Eid) দিনেই ঘটে গেল অঘটন। তবে বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন আক্রান্ত ব্যক্তি। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর শহরতলির দক্ষিণেশ্বরের(Dakshineshwar) আড়িয়াদহ এলাকায় এক তৃণমূল(TMC) নেতাকে লক্ষ্য করে রাস্তাতেই গুলি ছোঁড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু বাইক থেকে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত আড়িয়াদহ এলাকা। অভিযোগের তীরে বিদ্ধ সদস্য সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে(BJP) যাওয়া এলাকারই এক নেতা জয়ন্ত সিংহ।
আরও পড়ুন মমতাকে আম পাঠালেন হাসিনা, আসছেন ভারতেও
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বাইকে করে যাচ্ছিলেন আড়িয়াদহ এলাকার তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষ। সেই সময়েই তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এলাকারই এক নেতার সঙ্গে অরিত্রের ঝামেলা চলছিল প্রোমোটারির ব্যবসা নিয়ে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অরিত্রকে এই ব্যবসার পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এদিনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত নেতা। তবে পুলিশ তার সন্ধান শুরু করেছে। তবে ঈদের দিনে এই ঘটনা ঘটায় কিছুটা হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে প্রকাশ্য দিবালোকে যেভাবে Shootout’র ঘটনা ঘটেছে তাতেই ভয় পেয়েছেন আমজনতা। যদিও পুলিশ এদিন হামলার কথা স্বীকার করলেও গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন ‘সকলের শুভ কামনায় আমি গভীরভাবে মুগ্ধ’, ঈদ বার্তা মমতার
জানা গিয়েছে, হামলার জেরে অরিত্রের দু’টি হাত এবং দু’টি পা ভেঙে গিয়েছে। তাঁর শরীর থেকে অনেক রক্তও বেরিয়েছে। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর লোহর রড দিয়ে মারা হয়েছে। মারের চোটেই তাঁর হাত, পা ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অরিত্রকে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে অরিত্র বলেছেন, ‘আমি বাইকে করে অফিসে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর দলের লোকেরা আমাকে গুলি করে। গুলিটা পায়ের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। আমি বাইক থেকে পড়ে যাই। তার পর ওরা আমাকে রড, লাঠি দিয়ে আধ ঘণ্টা ধরে মারে। আমি চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’