নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অপসারণ করা হল জহর সরকারকে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ১৩ জন সদস্য রয়েছেন। সেই গ্রুপ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত এর আগে দলের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তার পর দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
দলের তরফে রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সূত্রের খবর, সুখেন্দুশেখর জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলে দলের অবস্থান বা বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, জহর সরকার জানিয়েছেন, শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেননি, বিজেপির বিরুদ্ধেও বলেছেন তিনি। দলের তরফে জহর সরকারকে প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি এই সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন নিজের বক্তব্য না জানিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই মন্তব্য করলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা।
জহর সরকারকে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে তিনি মমতার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘যিনি আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি যদি ক্ষুব্ধ হন এবং যদি চলে যেতে বলেন তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’ প্রসঙ্গত জহর সরকার দলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে কোনও পদে নেই। এমনকী তিনি দলের মুখপাত্রও নন। এই অবস্থায় সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে দলের অন্দরে তীব্র আপত্তি তোলেন জোড়াফুল শিবিরের একাধিক বর্ষীয়াণ নেতা।