নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) ভোট গ্রহণের দিন। তার জন্য গতকাল পর্যন্তই ছিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। আর সেই দিনেই রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। রাজ্যের দুই প্রান্তে ঝরেছে জীবন। মারা গিয়েছে দুই দলের দুই প্রার্থী। একজন মারা গিয়েছে চোপড়ায়(Chopra), একজন ভাঙড়ে(Bhangar)। এর বাইরেও ভাঙড়ের বুকে মারা গিয়েছে শাসক দলের ২ কর্মী। একই দিনে ৪ জনের এই মৃত্যুর জেরে বৃহস্পতিবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media) বেশ কড়া বিবৃতি দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। সেই বিবৃতির জেরে এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) তরফেও এবার তাঁকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। তিনি সরাসরি রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘কীসের ভিত্তিতে এত কথা বলছেন রাজ্যপাল?’
আরও পড়ুন খোঁজ নেই সার্ভিস রিভলভার ও ১২ রাউন্ড গুলির
ভাঙড় ও চোপড়ার হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাতে রীতিমতো কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে। তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গেই সেটার শেষের শুরু। যে কোনও মূল্যে সহিংসতা রুখতে হবে। গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রে জনতাই প্রভু। নির্ভয়ে নিজের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও জায়গা নেই।’ এই বিবৃতির বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন কুণাল। তাঁর দাবি, ‘গোটা রাজ্যে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন হচ্ছে। সেটা বিরোধীদের মনোনয়নের সংখ্যাতেই বোঝা যাচ্ছে। সামান্য কয়েকটা জায়গায় এখানে বিরোধীরা প্রার্থী পাচ্ছে না, সেখানে ওরা ঝামেলা করছে। এই দু-এক জায়গার ছবি দেখে, এত বড় বড় কথা বলার তো কোনও মানে হয় না। কীসের ভিত্তিতে এত কথা বলছেন রাজ্যপাল, সেটা ভাবতে হবে। মণিপুরে এত মানুষ মারা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ মানুষ মারা যাচ্ছে, সে নিয়ে তো কথা বলেন না উনি। মণিপুর নিয়ে এত কথা বলেন না, উত্তরপ্রদেশ নিয়েও বলেন না। বাংলার রাজ্যপাল হলেও ভারতের নাগরিক হিসাবে ট্যুইট করতে তো বাধা নেই, তাহলে করেন না কেন?’
আরও পড়ুন সরকারি কর্মীদের পোষ্যদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে Online-এ জোর
এর পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, তৃণমূল সরকারকে বদনাম করতে এবং কেন্দ্রের কাছে নালিশ করার জন্য কয়েকটা জায়গায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। কুণাল ঘোষ সেই দাবির পাশাপাশি জানিয়েছেন, বলছেন, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে লাফালেও তাতে ফলাফল বিশেষ পরিবর্তন হবে না। এক বুথে ১০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকলেও মানুষের সমর্থনে জিতবে তৃণমূল।