নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিধানসভা ভবনের(State Legislative Assembly) শুধু যে অধিবেশন কক্ষ রয়েছে তাই নয়, সেখানে রয়েছে বিধানসভার অধ্যক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার ঘরও। পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যের অনান্য মন্ত্রীদের জন্য আলাদা আলাদা ঘরের ব্যবস্থাও। কারও ঘর একতলায় তো কারও ঘর দোতলায়। যেমন মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, পূর্তমন্ত্রী, বিদ্যুৎমন্ত্রী, বনমন্ত্রীর সঙ্গেই মুখ্যসচেতক ও উপমুখ্যসচেতকের ঘর রয়েছে একতলায়। বাকি পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের ঘর দোতলায়। এখন সেই দোতলায় যাদের ঘর রয়েছে তাঁদেরই কয়েকজন এখন নীচের তলায় ফাঁকা থাকা দুটি ঘরের দিকে দৃষ্টি পড়েছে। কেননা এক একতলার দুটি ঘর বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে এবং দুই, নিত্যদিন বার বার সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় ওঠানামা করা অনেক মন্ত্রীরই আপত্তি রয়েছে। তাই তাঁরা এখন অনেকেই হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন একতলার দুটি ঘরের বরাত পেতে। যদিও এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষই।
কিন্তু কোন দুটি ঘরের দিকে নজর পড়েছে সবার? জানা গিয়েছে বিধানসভা ভবনের একতলায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘর লাগোয়া দুটি ঘর এখন ফাঁকা রয়েছে। একটি ঘর রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের(Amit Mitra), অন্যটি প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের(Subrata Mukherjee)। অমিতবাবু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীই হননি। যদিও তারপরেও আরও ৬ মাস তাঁকে অর্থমন্ত্রীর পদে রেখে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অমিতবাবু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর সক্রিয় হতে চাননি। কার্যত সেই সময় থেকেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে অমিতবাবুর ঘর। অন্যদিকে গত বছর ৪ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য হয়েছে অপর ঘরটি। ঘটনা হচ্ছে এই দুটি ঘর এখন কোন কোন মন্ত্রীরা পাবেন সেটা ঠিক করবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee)। আর সেই কারনে তাঁর কাছে এখন জমা পড়ে গিয়েছে, ছয় ছয় জন মন্ত্রীর আবেদন যাতে ওই দুটি ঘর তাঁদেরকেই যেন বরাদ্দ করা হয়। যদিও এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি অধ্যক্ষ।
তবে সূত্রে জানা গিয়েছে অমিতবাবুর ঘরটি পেতে পারেন রাজ্যের বর্তমান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেননা রাজ্যের অর্থ দফতর ছাড়াও, স্বাস্থ্য, ভূমি-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বই এখন তাঁর কাঁধে। তাই অমিতবাবুর ঘর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে সুব্রতবাবুর ঘর কার ভাগে যেতে পারে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও গৃহীত হয়নি। মনে করা হচ্ছে সুব্রতবাবুর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয়(Bubul Supriya) জয়ী হলে তাঁকে মন্ত্রী করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মন্ত্রী হলেও তাঁকেও ঘর বরাদ্দ করতে হবে। তাই সুব্রতবাবুর ঘর বাবুলের ভাগে যেতেই পারে। হয়তো সেই কারণেই এই ঘর নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ।