এই মুহূর্তে




ব্রিটিশদের কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া ক্ষুদিরাম বসু সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবীর কথা মনে আছে ? তিনি আর কেউ নয়, তিনি হলেন ক্ষুদিরাম বসু। তিনি হলেন প্রথম ভারতীয় বিপ্লবীদের মধ্যে একজন যাকে ইংরেজরা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।ফাঁসির সময়, ক্ষুদিরামের বয়স ছিল মাত্র ১৮  বছর। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কনিষ্ঠতম এই বিপ্লবী কিশোর প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে বোমা ছুঁড়েছিলেন।

 জন্ম বৃত্তান্ত : মহান এই বিপ্লবী ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোলের তহসিলদার। তাঁর মায়ের নাম ছিল লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী।

ক্ষুদিরামের বয়স যখন মাত্র পাঁচ বছর তখন তিনি তাঁর মাকে হারিয়েছিলেন। এক বছর পর তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। তখন তার বড়ো দিদি অপরূপা তাকে দাসপুর থানার এক গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। অপরূপার স্বামী অমৃতলাল রায় ক্ষুদিরামকে তমলুকের হ্যামিল্টন হাই স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন।

স্বাধীনতা চেতনার জাগরন :  ১৯০২ এবং ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রী অরবিন্দ এবং সিস্টার-নিবেদিতা মেদিনীপুর এসছিলেন, তখন স্বাধীনতার জন্যে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখেছিলেন একে একে। ইংরেজদের নারকীয় অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন সকলের সামনে। তখন থেকেই উদবুদ্ধ হতে শুরু করেছিলেন ক্ষুদিরাম। ওইটুকু ছেলের  বুকে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। শফথ নেন এহেন পাশবিক অত্যাচার থেকে দেশকে মুক্ত করবেন। প্রাণ যায় যাক কিন্তু রক্তপিপাসু ইংরেজদের অন্যায় অত্যাচার সহ্য করবেন না। দেশমাতাকে রক্ষা করতেই হবে….।

এমনকী বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গোপনে অধিবেশন করতে শুরু করেন। যে কোন বিপ্লবী আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। স্পষ্টভাবেই তিনি অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেন এবং কলকাতায় বারীন্দ্র কুমার ঘোষের সংস্পর্শে আসেন। তিনি ১৫ বছর বয়সেই অনুশীলন সমিতির একজন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী পুস্তিকা বিতরণের অপরাধে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্ষুদিরাম বোমা মজুত করতে থাকেন এবং পিশাচদেরকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানান।

ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা : বঙ্গভঙ্গ বিরোধী ও স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের প্রয়োজনভিত্তিক কঠোর সাজা দিতেন কলকাতার প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড। যুগান্তর বিপ্লবীদল ১৯০৮ সালে তাঁকে হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরামের উপরে দায়িত্ব পড়েছিল সেইসময়।

৩০ এপ্রিল স্থানীয় ইউরোপীয় ক্লাবের গেটের কাছে একটি গাছের আড়ালে অতর্কিত আক্রমণের জন্য ওঁত পেতে বসেছিলেন প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম। কিন্তু কিংসফোর্ডের গাড়ির পরিবর্তে অন্য একটি গাড়িতে ভুলবশত বোমা মারলে গাড়ির ভেতরে একজন ইংরেজ মহিলা ও তাঁর মেয়ে মারা যান। ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন। এই ঘটনার পর ক্ষুদিরাম ওয়ানি রেলস্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তবে প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন।

ধরা পড়ার পর তিনি বোমা নিক্ষেপের সমস্ত দায়িত্ব নিজের উপর নিয়ে নেন। কিন্তু অপর কোনো সহযোগীর পরিচয় দিতে বা কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয় ইংরেজরা। মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয় ক্ষুদিরামকে।

ফাঁসির দিন কি হয়েছিল : সালটা ছিল ১৯০৮, ১১ আগস্ট, অর্থাৎ আজকের দিনে চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছিলেন তিনি। দুইদিকে দুই খুঁটি আর একটি মোটা লোহার রড যা আড়াআড়িভাবে যুক্ত তারই মাঝখানে বাঁধা মোটা একগাছি দড়ি। এরপরেই ক্ষুদিরামকে নিয়ে আসে ইংরেজ চারজন পুলিশ। তথ্য মতে, ক্ষুদিরামই হাঁটছিলেন আগে। যেন তিনিই সেপাইদের টেনে আনছেন। এরপর হাসিমুখে মৃত্যুকে আপন করে নেন মহান এই বিপ্লবী।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুজোয় কোন রঙের জামা পড়বেন ? রাশি মিলিয়ে বেছে নিন! কাটবে সংকট

এবছর দেবী দূর্গা আসছে কীসে ? অশুভ ইঙ্গিত বহন করেছে না তো ?

দেবকুলের ইঞ্জিনিয়ার! স্বর্গলোক থেকে সোনার লঙ্কা! জানেন কী বিশ্বকর্মার আশ্চর্য আবিষ্কার সম্পর্কে ?

আসছে রাধাষ্টমী! জেনে নিন কেন পালন করা হয় রাধার জন্মদিন

বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে হাতিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল কেন ?

‘যুদ্ধে নিহত অসুরদের প্রাণ ফিরিয়ে দিত’ জেনে নিন কে ছিলেন এই দেবতা ? কীভাবে সঞ্জীবনী মন্ত্রের বর লাভ করেছিলেন ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর