আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমরা যে মোবাইল (mobole) নির্ভর, তা আর নতুন করে বলার দরকার পড়ে না। করোনাকালে বিশ্ব যখন লকডাউনে (lock down) , সেই সময় বিশ্ব আরও বেশি করে মোবাইলের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছিল। পড়াশোনা চলত অনলাইনে (online) । মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্ত চলা কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। করোনা (covid-19) সংক্রমণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। শিথিল হয়েছে বিধি-নিষেধ। পরিস্থিতি ধীরে হলেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মোবাইলের ব্যবহার কমেনি। উল্টে বেড়েছে।
অথচ বিশ্বে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যে গ্রামের মানুষ (villagers) না ব্যবহার করে মোবাইল, না সেই গ্রামে রয়েছে ওয়াইফাই (WiFi) । শুনতে অবাক লাগছে।অবাক লাগারই কথা। বিশ্ব যখন মোবাইল নির্ভর, সেই সময় এই বিশ্বে রয়েছে এমন একটি গ্রাম যে গ্রামের মানুষ আজও মোবাইল ব্যবহার করে না। না গ্রামে পৌঁছেছে ওয়াইফাই। পাঠকের সঙ্গে এই গ্রামের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক।
গ্রামের নাম এনওয়াই এলিসান্ড। গ্রাম নরওয়েজিয়ান (Norway) দ্বীপপুঞ্জের স্যালবার্ডে। গ্রামটি আর্কটিক মরু অঞ্চল। বোঝাই যাচ্ছে গ্রামে ঠাণ্ডা কেমন। গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৪৫জন। আর গ্রীষ্মকালে গ্রামের বাসিন্দা বেড়ে হয় ১৫০। জার্মানি (Germany), ফ্রান্স (Framce) , ব্রিটেন (Britain) , নরওয়ে (Norway), জাপান (japan) , দক্ষিণ কোরিয়া (Soth korea) এবং চিন থেকে এই গ্রামে আসেন সে দেশের নাগরিকেরা। আরও যে তথ্য চমকে দিতে পারে, তা হল এই গ্রামের বাসিন্দাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজ্ঞানী। ১৯৮৯ সালে গবেষকদের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করতে ৪৭২ মিটার (১,৫৪৮ ফুট) উচ্চতায় এখানে একটি গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল।