নিজস্ব প্রতিনিধি, ত্রিশূর (কেরল): ব্যবহারের অভাবে বহু ভাষাই হারিয়ে গিয়েছে। আগামীদিনেও আরও কয়েকটি ভাষা হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভাষাবিদেরা। কয়েকটি ভাষা রয়ে গেলেও তার অস্তিত্ব প্রায় নিভু নিভু। পরিস্থিতি যখন এরকম সেই সময় কেরল থেকে এল সুসংবাদ।
এখানকার একটি মাদ্রাসায় পড়ানো হয় সংস্কৃত। আর যিনি পড়ান তিনি একজন হিন্দু শিক্ষক। সংস্কৃত ছাড়াও এই মাদ্রাসায় পড়ানো হয় উপনিষদ, পুরাণ। পড়ানো হয় গীতা। তবে পুরো গীতা নয়, গীতার মূল্যবান অংশগুলি। পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই মাদ্রাসার।
ত্রিশূরের এই মাদ্রাসার নাম অ্যাকাডেমি অব শারিয়া অ্যান্ড অ্যান্ড অ্যাডভানসড স্টাডিজ। মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বে মালিক দিনার ইসলামিক কমপ্লেক্স। অধ্যক্ষ মহম্মদ ফৈজি জানিয়েছেন, গীতা বা উপনিষদকে আমরা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ হিসেবে দেখি না। এই গ্রন্থ পাঠ আমাদের সকলকে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের জীবন কেমন হওয়া উচিত, মানুষের কর্তব্য কী, দায়িত্ব কি তা গীতায় বলা আছে। অন্য আরও একটি কারণে মাদ্রাসার পড়ুয়াদের গীতা বা উপনিষদের পাঠ দেওয়া হয়। আর সেই কারণ হল অন্যের ধর্মকে জানা। অন্যের ধর্মকে বোঝা। মনে রাখতে হবে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
এই মাদ্রাসায় গেলে শোনা যায় পড়ুয়ারা একসঙ্গে বলছে – গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরুদেব মহেশ্বর। গুরুর সাকশাৎ পরম ব্রহ্ম, তৈস্মৈ শ্রী গুরুভে নম। পড়াশোনা থেকে প্রশ্নোত্তর -সবই সংস্কৃততে।
আরও পড়ুন গ্রামবাসীরা কথা বলেন সংস্কৃততে, প্রতিদিন যোগশিবির, ফি-মাসে গায়ত্রী যজ্ঞ