নিজস্ব প্রতিনিধি: ইংরেজদের কাছ থেকে কলকাতা পুনরুদ্ধার করেছিলেন নবাব সিরাজদৌল্লা। তার ১৯১ বছর পরে বাংলা বিভাজনের প্রস্তাবে পড়েছিল সিলমোহর। দিনটি ২০ জুন। কেউ বলেন এই দিন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। কেউ বলেন ‘বঙ্গভঙ্গ দিবস’। এই দিন ছিল গৌরবের। এই দিন একই সঙ্গে লজ্জার।
আমাদের আলোচ্য বিষয় ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। দীর্ঘ সংগ্রামের পরে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। বিভক্ত হয় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি। বাংলা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল পেয়েছিল ‘অঙ্গরাজ্য’ মর্যাদা। তখনই নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ (WEST BENGAL)। অবশ্য দাফতরিক ভাষা ইংরেজিতে নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’। প্রসঙ্গত, এদিন ‘অখণ্ড বাংলা’-র গৌরব ক্ষুণ্ণ হয়।
২০ জুন দিনটিকে অনেকেই দাবি করে থাকেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস। কারণ ১৯৪৭ সালে এই দিনে বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে রেজ্যুলেশন নেওয়া হয়েছিল বাংলা বিভাজনের। আবার অনেকের দাবি, এই দিন বঙ্গভঙ্গ দিবস। এই দিনের পেছনে নিঃসন্দেহে বড় অবদান রয়েছে ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। কারও আছে তিনি ‘হিরো’। আবার কারও কাছে ‘ভিলেন’। এরপরে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যায় বাংলা।
উল্লেখ্য, লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের বাড়িতে ভারত এবং বাংলা বিভাজন নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু এবং মুসলিম জেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে দু’টি আলাদা করে সভা হবে। ওই সভায় সকলের মতামত নেওয়া হবে। ঠিক হয়েছিল, একটি সভার ফলাফলও যদি বাংলা বিভাজনের পক্ষে যায়, তবে বাংলা ভাগ হবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সভায় বাংলা বিভাজনের বিপক্ষে বেশি ভোট পড়েছিল। তবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের সভায় বাংলা বিভাজনের পক্ষে বেশি ভোট পড়েছিল।