নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ৬ ফেব্রুয়ারি শতাব্দীর প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণ গিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। বাংলাদেশে তার চেয়েও বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত হানার সম্ভবনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি জানান, ‘দেশ ৮.৩ থেকে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে।’ ভূমিকম্প রুখতে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব বিল্ডিং কোড অনুসরণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উপরেও জোর দিয়েছেন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। তাঁর কথায়, ‘সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রশাসনকেও এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে ভূতত্ত্ববিদদের একাংশ দাবি করেছিলেন, বড়সড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতারের কথায়, ‘উত্তরে তিব্বত সাব-প্লেট, ইন্ডিয়া প্লেট এবং দক্ষিণে বার্মা সাব-প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জ হয়ে, কিশোরগঞ্জ চট্টগ্রাম হয়ে একেবারে দক্ষিণ সুমাত্রা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইন্ডিয়া প্লেট ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে দীর্ঘসময় ধরে কোনও ভূমিকম্প হয়নি। ফলে সেখানে ৪০০ থেকে হাজার বছর ধরে শক্তি জমা হয়ে রয়েছে।’