এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এক টাকা দিয়ে জমি কিনে লবন হ্রদ নগরী গড়ে তুলেছিলেন বিধান রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি নেই। কিন্তু তাঁর হাতে গড়া সল্টলেক আজ গোটা দেশের কাছেই পরিচিত। জলা জমি বুজিয়ে এক উপনগরী কীভাবে তৈরি করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়। সর্বস্ব হারিয়ে, ভিটে মাটি ছেড়ে ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু মানুষগুলির মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছিলেন বঙ্গ রাজনীতির মহানায়ক। সল্টলেক থুড়ি লবন হ্রদ নগরের গোড়াপত্তনের পিছনেও এক গল্প রয়েছে। সেই গল্প হয়তো অনেক প্রবীণের জানা। কিন্তু আজকের নবীন প্রজন্ম হয়তো কলকাতার উপকণ্ঠের ঝা-চকচকে উপনগরী গড়ে ওঠার গল্প জানে না। তাদের জন্য ফের না হয়, ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালাম।

সবে দেশভাগ হয়েছে। ওপার বাংলা থুড়ি পূর্ব পাকিস্তান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতো হাজির হলেন সীমান্ত পেরিয়ে। বনগাঁ, হাবড়া, যাদবপুর, বাঘাযতীনে অস্থায়ীভাবে বসতি গড়ে মাথাটুকু গুজলেন। তবুও বিশাল সংখ্যক শরণার্থী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকা বিধান রায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর করে তুলল। একদিন তলব করলেন বিশ্বস্ত সহচর প্রফুল্ল সেনকে। ডেকেই আদেশের সুরে বললেন, ‘পূর্ব কলকাতায় অনেক জলা জমি-ভেড়ি আছে, সেগুলি বুজিয়ে ফেলতে হবে।’ শুনে আমতা-আমতা করে প্রফুল্লভাবে বললেন, ‘সেটা কী করে সম্ভব? পুরো জায়গাটাই তো আমাদের হেমদার।’ হেমচন্দ্র নস্করও কংগ্রেসের দাপুটে নেতা এবং বিধান রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য। বিধান রায়ের আদেশ পেয়েই হেমচন্দ্র নস্করের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন প্রফুল্লবাবু। কিন্তু তাঁকে জমি নেওয়ার কথা বলার সাহস পেলেন না। বরং  হেম নস্করকে একরকম পাকড়াও করে নিয়ে গেলেন বিধান রায়ের কাছে।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকেই হেমবাবু খানিকটা মজা করে বললেন, ‘মাছ লাগবে ততো? ঠিক আছে বড় মাছ পাঠিয়ে দেব।’ বিধান রায় তখন সঙ্কোচ ভেঙ্গে বলেই ফেললেন, ‘না না, মাছের কথা বলছি না। আমরা পূর্ব কলকাতায় একটা নতুন উপনগরী করতে চাইছি। তার জন্য আপনার ওই ভেঁড়িগুলো বুজিয়ে ফেলতে চাই।’ শুনেই আঁতকে উঠলেন হেম নস্কর। তিনি আপত্তি জানালেন। কিন্তু সেই আপত্তি শুনলেন না বিধানবাবু। বরং অনুরোধের সুরে বললেন, ‘ওই জমি না থাকলেও আপনার দিব্যি চলে যাবে। ওই জমির যা মূল্য তা দেওয়ার মতো টাকা সরকারের কাছে নেই। তবে একেবারে বিনামূল্যে নেব না। এক টাকা দেব।’ আগেভাগেই সব কিছু গুছিয়ে রেখেছিলেন বিধানবাবু। ইঙ্গিত করতেই ঘরে ঢুকলেন মুখ্যসচিব। হাতে জমি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। মুখ্যমন্ত্রীর জেদের কাছে হার মেনে সই করতে হলো নির্বিরোধী, সজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিত হেমচন্দ্র নস্করকে। সই-সাবুদ হতেই শুরু হয়ে গেল লবন হ্রদ নগরী গড়ে তোলার কাজ। যদিও জীবদ্দশায় স্বপ্নের লবন হ্রদ নগরী দেখে যেতে পারেননি তিনি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়, তছনছ হয়ে গেল মথুরাপুরের একাধিক বাড়ি

চলন্ত ট্রেনে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে চম্পট স্বামীর

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, রাতে হানা আয়কর বিভাগের

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জেরে দুই মেয়ের মৃত্যু, আদালতের দ্বারস্থ বাবা-মা

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর