এই মুহূর্তে




বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদারবাহিনী তথা গণধর্ষকদের দোসর  মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের জমানায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষকরা।  শুধু তাই নয়, হুমকিও দিয়ে চলেছে নির্যাতিতাদের। এবার ধর্ষণের মামলায় সুবিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল জুলাই আন্দোলনে শহিদ জসিমদ্দিনের কিশোরী কন্যা লামিয়া হাওলাদার। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ‎নিজেদের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় লামিয়া। সুইসাইড নোটে ইউনূস সরকারের পুলিশের ধর্ষক বান্ধবে পরিণত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে শহিদ কন্যা। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে শেখ হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের জসিম হাওলাদার। আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। গত ১৮ মার্চ বাবার কবরে প্রার্থনা শেষে দাদুর (মায়ের বাবা) বাড়িতে যাচ্ছিলেন জসিমের কলেজ পড়ুয়া ১৭ বছরের কিশোরী কন্যা লামিয়া। পথে নলদোয়ানিতে একই গ্রামের দুই যুবক সাকিব মুন্সি এবং সিফাত মুন্সি কিশোরীর পথ আটকে তাকে জোর করে তুলে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। নগ্ন অবস্থায় নির্যাতিতার ছবি মোবাইল বন্দি করে। এমনকি মুখ খুললে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ধর্ষকরা।

বাড়ি ফিরে কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়নি নির্যাতিতা। বুধবার (১৯ মার্চ) নিজেই দুমকি থানায় গিয়ে সাকিব ও সিফাতের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে। অভিযোগ পেয়েই শারীরিক পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায় পুলিশ। চাপে পড়ে দুই ধর্ষককে আটক করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যায় দু্ই ধর্ষক। জামিন পাওয়ার পরেই লামিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেনও ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের পরামর্শ দেন। ফলে এক অব্যক্ত যন্ত্রণা নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছিল লামিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের।

লামিয়ার মামা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রবিবার বিকালে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার মার্কেট থেকে কিছু নতুন পোশাকও কিনেছিল। রাত আটটা নাগাদ লামিয়ার মা ছোট মেয়েকে বাড়ির  পাশেই মাদ্রাসায় দিয়ে আসতে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বড় মেয়ে।’ ক্ষোভ উগরে দিয়ে সাইফুল বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমার বোন স্বামীহারা হলো। এখন মেয়েকে হারাল। লামিয়ার ধর্ষকরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইব? কে সুবিচার দেবে? বদলের বাংলাদেশে এটাই কী প্রাপ্য ছিল?’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার’, ইউনূসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ খালেদার দলের

বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী শীর্ষ আদালত, এজলাসেই ফুল বিনিময় করে বিয়ের প্রস্তাব ধর্ষক ও নির্যাতিতার

আচমকাই সংসদে হানা ‘ভূতের’, হৃদযন্ত্র খানিকক্ষণের জন্য থমকে গেল সাংসদদের, তার পর..

পিএসএলে খেলার জন্য বিসিবির কাছে ছাড়পত্র চাইলেন সাকিব আল হাসান

অদ্ভুত নিয়ম! এখানে বিয়ের আগে বরের কৌমার্যের পরীক্ষা নেন কনের ‘মাসি’

মায়ের পরামর্শ মেনে আত্মসমর্পণ করেনি, সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা জঙ্গি আমির

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর