নিজস্ব প্রতিনিধি: অতিমারি কাটিয়ে ওঠার পরে এই প্রথম এত বড় বিয়ের (MARRIAGE) আসর বসল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ইস্টার সান ডে উপলক্ষ্যে এই বিয়ের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল পেন্টিকস্ট হলিনেস চার্চের উদ্যোগে ওই দিন ছিল আড়ম্বরপূর্ণ। তবে নিরাপত্তা ছিল অত্যন্ত কড়া। কিন্তু কেন?
গণবিবাহ মানে বড়জোড় একশো-দুশো যুগল থাকে। অন্তত এতদিন এমনটাই জানতেন তো? আজ্ঞে না, এখানে যুগল ছিল আটশো! মানে, ষোলোশো জন ‘সোলো’ থেকে হলেন ‘যুগল’। জানা গিয়েছে, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল পেন্টিকস্ট হলিনেস চার্চ। সেখানেই প্রতি বছর তিনবার এমন গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। বিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে ইস্টার সান ডে, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে।
তবে এদিন মনে হয় সবচেয়ে উৎসাহী ছিলেন এক সরকারি মহিলা আধিকারিক। তাঁর নাম লেবোগিলে মামাতেলা (৩৮)। বিয়ে করেই তিনি আনন্দিত হয়ে বলেন, তাঁর স্বামী নাম রোতো মাহলুকু (৪০)। বলেন, তিনি বিয়ের আগেই মা হয়েছেন। আরও আনন্দিত স্বরে বলেন, তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী। ১৬ বছর আগে এই চার্চেই তাঁর স্বামী বিয়ে করেছিলেন প্রথম স্ত্রী দিতোপা মাহলুকুকে (৩৭)। আর প্রথম স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া? তিনি বলছেন, ‘ঈশ্বর এই জন্যই আমাদের সৃষ্টি করেন’। প্রথম স্ত্রীর বিশ্বাস, তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে ঈশ্বরের ইচ্ছে পূরণ করেছেন।
তবে এত বড় করে এতজনের বিয়ের আয়োজন সত্যিই কি হয় প্রতিবার? উত্তরটা, না। তবে কেন হলো এবারে? কারণটা শুনলে অবাক হবেন। এই গির্জা’র নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। তা ‘ধামাচাপা’ দিতেই এই মহা সমারোহ।
উত্তরাধিকারের লড়াই:
এই চার্চের ‘নেতা’ ছিলেন গ্লেটন মোডিজ। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন গত ২০১৬ সালে। কে হবে নেতা-তা নিয়েই দ্বন্দ্ব জারি ৩ ভাইয়ের মধ্যে।
কেন কড়া নিরাপত্তা?
২০২০ সালে এই গির্জায় জমায়েতের সময় সেখানে গুলি চলেছিল। প্রাণ গিয়েছিল ৫ জনের। অভিযুক্ত ৪২ জন। দীর্ঘ শুনানি চলার পরে গত ২০২২ সালে মামলাটি আদালতে খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
কেমন ছিল নিরাপত্তা?
জানা গিয়েছে, সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিল উৎসবস্থলে। ছিল মেটাল ডিটেক্টর।