নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: এ যেন অনেকটাই হারাধনের দশটি ছেলের গল্প। একে একে যেভাবে হারাধনের নয়টি ছেলেকেই প্রাণ হারাতে হয়েছিল, তেমনভাবে মধ্যপ্রদেশের কুনোয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা একের পর এক চিতার মৃত্যু ঘটছে। মঙ্গলবার দক্ষ নামে আরও এক স্ত্রী চিতার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৪০ দিনের মধ্যে তিনটি চিতার মৃত্যু হলো। মধ্যপ্রদেশের মুখ্য বনপাল জে এস চৌহান জানিয়েছেন, বায়ু ও অগ্নি নামে দুই পুরুষ চিতার সঙ্গে যৌন মিলনের সময়ে হিংস্রতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে দক্ষের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’র অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে ২০টি চিতা আনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে। আরও ৩০টি চিতা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুনোর অরণ্যে আদৌ ২০টি চিতাকে সঠিকভাবে পালন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যানের অপসারিত প্রধান যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা। তাঁর আশঙ্কা যে কতটা সত্যি, তা হাড়ে-হাড়ে প্রমাণ হচ্ছে।
গত ২৭ মার্চ কিডনিতে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী স্ত্রী চিতা শাসার। আর তার এক মাস যেতে না যেতে গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। পুরুষ চিতাটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে। এদিন সকালে যৌন মিলনের জন্য এক নম্বর খাঁচা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল স্ত্রী চিতা দক্ষকে। আর সাত নম্বর খাঁচা থেকে বায়ু ও অগ্নি নামে দুই পুরুষ চিতাকে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই হিংস্র হয়ে দক্ষকে আক্রমণ করে দুই পুরুষ চিতা। গুরুতর জখম হয় দক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।