এই মুহূর্তে




‘গুড টাচ ও ব্যাড টাচ’ কী ? শিশুকে এই শিক্ষা দেবেন কীভাবে!

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্প্রতি একটা কথা সমাজমাধ্যমে খুব ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল ‘গুড টাচ ও ব্যাড টাচ।’ আপনি জানেন কী  এই গুড টাচ ও ব্যাড ট্যাচ কি ?  আসলে এটা হল এমন একটি জ্ঞান যেখানে শিশুরা বুঝতে পারবে কোন স্পর্শ তাঁদের জন্য নিরাপদ আর কোন স্পর্শ তাঁদের জন্য খারাপ।

পরিবারে যখন কোন নতুন সদস্য আসে, সকলে খুব খুশি হয়। তখন মনে হয় এর থেকে আনন্দের কিছু হতে পারে না।কিন্তু যখন ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে শিশু। তখন চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে যায়। আদেও শিশুরা নিরাপদে আছে তো ? কেননা বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটা শিশুকে অভিভাবকদের বোঝানো খুব প্রয়োজন। কোনটা গুড টাচ, কোনটা ব্যাড টাচ। সে নারী হোক বা পুরুষ। সকলের জানা খুব প্রয়োজন।

কত বছর বয়স থেকে শেখাবেন : সাধারণত দুই বছর বয়স থেকে আপনি একটু একটু করে শেখাতে পারেন। তার মানে এই না যে একগাদা টিপস একদিনে শিখিয়ে ফেললেন। বাচ্চারা যখন তাদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে শুরু করে, তখন থেকেই শেখান ।

প্রতিদিন একটু একটু করে খেলার ছলে প্রত্যেকটি অঙ্গ সম্পর্কে তাকে চেনান। ছবি এঁকে কোনটি হাত, পা, মাথা, চোখ এভাবেও শিখাতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে তাকে প্রাইভেট পার্টস চিহ্নিত করা শেখান। কাপড় বদলানো এবং স্নান করার সময়ও তাকে এই ব্যাপারে অবহিত করুন।

কীভাবে বোঝাবেন আপনার শিশুকে :

১)পরিবারের সদস্য যেমন-ঠাকুমা, ঠাকুরদা, বাবা, মা যদি ভালবেসে চুম্বন করতে চায়, তাতে যদি শিশুটি নিরাপদ ফিল করে তখন সেটা গুড টাচ। শুধু তাই নয় শিশুটি কাকে আদর করতে পারবে তা সম্পর্কেও জানান।

২)কোনো সংস্পর্শে শিশু যদি ভয় বা ব্যথা পায় এবং অস্বস্তি বোধ করে বা কেউ অকারণে তার প্রাইভেট পার্টে হাত রাখে তাহলে সেটা ব্যাড টাচ।

৩)শিশু বারন করা করার সত্ত্বেও যদি বারবার তাকে স্পর্শ করে তাহলে এটাও ব্যাড টাচ। সেক্ষেত্রে শিশুকে শিক্ষা দিন,এমন ঘটনার সম্মুখীন হলে জোরে চিৎকার করতে।

৪)পরিবারের কোন সদস্য শিশুর জামাকাপড় বদলে দিতে,টয়লেট করাতে ও স্নান করাতে পারবে তা সম্পর্কে অবহিত করুন।

৫) লোভ দেখিয়ে শিশুকে অন্য রুমে নিয়ে যেতে চাইলে বা বেড়াতে নিয়ে যেতে চাইলে শিশুকে বোঝান এমন করা উচিত নয়। অভিভাবকদের না জানিয়ে কোথাও চেনা বা অচেনা কারোর সঙ্গেই যেন না যায়।

৬) তবে শিশুকে আগে বুঝুন।শিশু কেমন প্রকৃতির সেই হিসেবে শিক্ষা দিন। অনেক শিশু হয় লাজুক। অনেক শিশু আবার খোলামেলা, অনেকে ভয় পেয়ে থাকে, কেউ সংবেদনশীল। শিশুর গ্রহণ করার ক্ষমতা ও প্রকৃতি অনুযায়ী অল্প অল্প করে বোঝান।

৭) সর্বদা শিশুর অভিভাবক নয়, বরং বন্ধু হয়ে ওঠুন। অন্যদিকে কার সঙ্গে মিশছে এই বিষয়েও একটু খেয়াল রাখুন।

৮) শিশুকে অভয় দিন। তাঁকেও বলার সুযোগ দিন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুজোয় কোন রঙের জামা পড়বেন ? রাশি মিলিয়ে বেছে নিন! কাটবে সংকট

প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে হুইল চেয়ার দিয়ে স্কুলে আসতে সাহায্য করলেন প্রধান শিক্ষক, আনন্দে হল ভুরিভোজ

Mahalaya : মহালয়া  শুভ না অশুভ? বিচার করুন নিজেই

Vishwakarma Puja 2024: কবে হবে বিশ্বকর্মা পুজো ? জেনে নিন শুভ সময়

Mahalaya : আসলে কি এই মহালয়া? জানুন দেবী দুর্গার সাথে এর সম্পর্ক

এবছর দেবী দূর্গা আসছে কীসে ? অশুভ ইঙ্গিত বহন করেছে না তো ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর