নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: এ যেন অনেকটাই উলটপুরাণ। প্রেমের টানে যেখানে ইতালি সহ বিভিন্ন দেশের মেয়েরা বাংলাদেশে এসে ঘর ঘর বাঁধছেন, সেখানে সংসার পাততে সুদূর ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি দিলেন জামালপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক। ধুমধাম করেই বাঁধা পড়েছেন প্রেমিকা সিতি মারিয়ার সঙ্গে। তবে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমালেও দেশে ফিরে আসার ইচ্ছে রয়েছে পঁচিশ বছর বয়সী অর্কের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘জামালপুর শহরের বানিয়াবাজারের বাসিন্দা অর্ক একটি বেসরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে মুসলিমাডটকম নামে একটি বিবাহ সম্পর্কিত অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবার বাসিন্দা সিতি মারিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়। চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় সিতি। লেখাপড়া শেষে তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কুরআন ও হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। পরিচয় হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথা বলতে বলতে এক সময় গভীর প্রেম হয় দু’জনের। তার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত। গত ১৮ অক্টোবর প্রেমিকার দেশে উড়ে যান অর্ক।
যেখানে মনের মানুষের টানে বিদেশিনীরা বাংলাদেশে আসছেন, সেখানে কেন তিনি সাগর পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমালেন জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যমকে অর্ক জানান, ‘অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তার। করোনার কারণে অনেক দিন ভিসা বন্ধ ছিল। সেখানে গিয়েও অনেক কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। এজন্য বিয়ে করতে দেরি হয়েছে।’ নববধূকে নিয়ে জন্মভিটেয় ফিরবেন নাকি শ্বশুরবাড়ির ভিটেয় ঘাঁটি গাড়বেন তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জামালপুরের ২৫ বছরের তরুণ। মোবাইল ফোনে সিতি মারিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ছেলেদের সম্পর্কে আগে খারাপ ধারণা ছিল। কিন্তু অর্কের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে সেই ধারনা বদলেছে। শ্বশুরের ভিটেতে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছেন।’