নিজস্ব প্রতিনিধি: জিলিপি ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে শুধু ভারত নয়, জিলিপির জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর ভারত হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কেও। বিভিন্ন এলাকায় জিলিপির আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকম। সেরকমই বাঁকুড়ার জাম্বো জিলিপি। যার একেকটির ওজন দেড় থেকে তিন কেজি পর্যন্ত। শুধু ওজন ও আকারে নয়, বাঁকুড়ার জাম্বো জিলিপির প্য়াঁচে ফুটে ওঠে রকমারি নকশাও।
দশকের পর দশক ধরে ভাদ্র সংক্রান্তিতে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ায় এই জাম্বো জিলাপি তৈরি হয়। মূলত বিশ্বকর্মা ও ভাদু পুজো উপলক্ষ্য়েই মিস্টি প্রস্তুতকারকরা এই জাম্বো জিলিপি তৈরি করেন। এই সময় অন্যান্য মিষ্টি তৈরির কাজ বন্ধ রাখা হয়। আর বিশালাকার এই জিলিপি পিস হিসেবে নয়, বিক্রি হয় ওজন দরে। আকার, ওজন এবং দুর্দান্ত নকশার জন্য় বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার এই জাম্বো জিলিপির খ্য়াতি ইতিমধ্য়েই ছড়িয়ে পড়েছে বাঁকুড়ার সীমা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা ও রাজ্য়েও। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান জেলা ও ঝাড়খণ্ড, দিল্লিতেও এখানকার কারিগররা জাম্বো জিলিপি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু এই করোনা মহামারীর সময় থেকেই জাম্বো জিলিপির কড়াইয়ে উত্তাপ কমতে শুরু করেছে। গত দুই বছরে করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন এবং ব্য়বসায়ে মন্দার জেরে এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে জিলিপির আকার। পাশাপাশি বিক্রি কমেছে হু হু করে। চলতি বছরও বিশ্বকর্মা পুজোয় জাম্বো জিলিপির বরাত অনেক কম। স্থানীয় কল-কারখানা থেকে কিছু অর্ডার এলেও অন্য় জেলা ও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড থেকে বরাত কম এসেছে।
জাম্বো জিলিপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৪০ টাকা কেজি দরে। তাও বিক্রি হচ্ছে না বলে আক্ষেপ ব্য়বসায়ীদের। এক ব্য়বসায়ীর দাবি, করোনা সংক্রমণই ব্য়বসা মন্দা এনে দিয়েছে। গত দুই বছর আলো ব্য়বসা হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম বিধিনিষেধ কম থাকায় এই বছর ব্য়বসা জমবে। কিন্তু কোথায় কি, সারাদিনে পঞ্চাশটির মতো বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনও বিক্রি সেভাবে নেই। এখন আশা ভাদু পুজোর বাজার।