27ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 9:44 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: রাজবংশের উত্তরাধিকারীকে জন্ম দিতে পারবেন কিনা, সেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল প্রিন্স উইলিয়ামের পত্নী প্রিন্সেস কেট মিডলটনকে। ওই অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই ব্রিটিশ রাজ পরিবারে বধূ হিসেবে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। এমনই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন ‘গিলডেড ইয়ুথ: অ্যান ইন্টিমেট হিস্টোরি অফ গ্রোয়িং আপ ইন দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি’ বইয়ের লেখক টম কুইন। আর ওই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
লেখক টম কুইনের কথায়, ‘২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়নার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কেট মিডলটন। আর ওই বিয়ের আগেই কেটের বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করা হয়েছিল। তিনি যে সন্তান ধারণে সক্ষম, সেই প্রমাণ দিতে হয়েছিল। প্রজনন ক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার পরেই রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিন্স উইলিয়ামকে বিয়ে করার বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। যদি বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষায় কেট উত্তীর্ণ হতে না পারতেন, তাহলে প্রেমিক উইলিয়ামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হতো কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল।’
শুধু কেট মিডলটনই নন, রাজা চার্লসের সঙ্গে বিয়ের আগে বন্ধ্যাত্বের অগ্নিপরীক্ষায় বসতে হয়েছিল প্রিন্সেস ডায়নাকেও। পরে ওই ঘটনা নিয়ে অনুযোগও করেছিলেন তিনি। প্রয়াত প্রিন্সেস বলেছেন, ‘আমি এতটাই ছোট ছিলাম যে বুঝতেই পারিনি, আসলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে আমার প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। যখন বুঝলাম, ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।’