নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর: দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া-নেয়া শেষে দু’জনে মিলে নয়া জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই শুরু দাম্পত্য কলহ। আর শেষ পর্যন্ত দাম-পত্য কলহের সমাপ্তি ঘটল বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে। মাত্র নয় মাসেই প্রেমের বিয়ের মৃত্যুগাঁথা লেখা হলো। তবে মনের মানুষের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটায় মোটেও দুঃখিত নন প্রেমিক প্রবর। বরং বেজায় খুশ হয়েছেন। সেই খুশি এতটাই যে বুধবার বিকেলে প্রেমিকা তথা স্ত্রীর হাত থেকে মুক্তি মেলার আনন্দে ২০ লিটার দুধ দিয়ে স্নান সেরে নিলেন।
এমনই নজরকাড়া ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামের যুবক মিজান মোল্যা নিকট আত্মীয়া নূরজাহান আক্তারের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। নয় মাস আগে দুজনের বিয়েও হয়। কিন্তু বিয়ের পরে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ মেটাতে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশি সভাও বসে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। দুই মাস আগে নির্যাতন ও পণের অভিযোগ তুলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেন নূরজাহান। পরে মিজানও পাল্টা বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। বিচারক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সালিশির মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
এদিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবর আলির উপস্থিতিতে মিজান ও নূর জাহানের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের পরেই বাড়ি ফিরে কুড়ি লিটার দুধ দিয়ে স্নান করেন মিজান। মনের মানুষের সঙ্গে চিরতরে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে দুধ দিয়ে স্নান করার বিষয়টি নিয়ে গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে মিজান বলেন, ‘বিয়ের তিন মাস পরেই অশান্তি শুরু। তখনই মানত করেছিলাম, স্ত্রীর হাত থেকে নিস্তার পেলে দুধ দিয়ে স্নান করব। আজ সেই মুক্তির দিন। তাই মানত পূরণ করলাম।’