নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের সুবাদেই আলাপ হয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে। তার পরেই মন দেওয়া-নেওয়ার পালা শুরু। সেই বন্ধুর সঙ্গেই গড় বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু পরিবার রাজি হয়নি সম্পর্ক মেনে নিতে। আর তাতেই অভিমানে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে জীবন শেষ করতে চেয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী তরুণী। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। আপাতত হাসপাতালের বেডে শুয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বুধবার নয়ডা পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুর বাসিন্দা ২৩ বছরের এক যুবকের সঙ্গে টেলিগ্রামে পরিচয় হয়েছিল নয়ডার আনজারা হোমস সোসাইটির বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী এমবিএ পড়ুয়া ছাত্রীর। দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাড়িতেও টেলিগ্রাম বন্ধুকে বিয়ের বিষয়টি জানিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ওই বিয়ে মানতে রাজি হননি। এমনকী তরুণীকে ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার বিষয়েও সতর্ক করে দেন। কিন্তু পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করেই ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যান।’
এদিন সকালে মনের মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তরুণী তখনই তাঁর হাত থেকে ফোন ছিনিযে নেন পরিবারের সদস্যরা। আর তাতেই রেগে গিয়ে আবাসনের দোতলা থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তরুণীকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।