এই মুহূর্তে




সুপ্রভাত জানাবে স্লিপিং বুদ্ধ, ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের কাগে থেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: আকাশ বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। মাঝেমধ্যে দু এক পশলা বৃষ্টি হলেও ইতিউতি আকাশে দেখা দিচ্ছে পেঁজা তুলোর মত মেঘ। দক্ষিণে গড়িয়াহাট থেকে নিউমার্কেট, উত্তরে হাতিবাগান এখনই উপছে পড়ছে ভিড়ে। এবার মা আসছেন এবার বড় তাড়াতাড়ি, তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মেতে ওঠার তাগিদে মানুষ তড়িঘড়ি সারছেন পুজোর শপিং। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, মিন্ত্রার মতো শপিং অ্যাপগুলিতেও অর্ডারের ছড়াছড়ি। যারা ঘুরতে ভালবাসেন তারা হয়তো এই পুজোর ছুটিকেই কাজে লাগাবেন বলে ভাবছেন। চলুন এ বছর বরং ঘুরে আসা যাক উত্তরবঙ্গ থেকে।

উত্তরবঙ্গ বলতে এখন আর মানুষ শুধু দার্জিলিং বা কালিম্পং বোঝে না। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এত অফবিট স্থান যা এক জীবনে হয়তো ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ছোট্ট গ্রামের অনিন্দ্য সৌন্দর্যর মধ্যে অপার শান্তি লুকিয়ে থাকে। সেই সব স্থানের রূপ পাহাড়ের কোলে আশ্রয় না নিয়ে ইট কাঠের জঙ্গলে বোঝা যায় না। উত্তরবঙ্গের বুকে লুকিয়ে রয়েছে একটি ছোট্ট গ্রাম। নাম তার কাগে। পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এই গ্রামটির প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে রয়েছে সবুজ আর সবুজ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে যখন তখন উঁকি মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা।

বর্তমান সময়ে লেপচাজগৎ অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। এই লেপচাজগৎ থেকে কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই পাওয়া যায় কাগেকে। এই পাহাড়ি গ্রামের নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে। কাগেতে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ধাপ চাষ,  সারি সারি চা বাগান, আর নির্জনতা। গ্রামে ঢোকার পথেই চোখে পড়বে একের পর এক টিন দিয়ে তৈরি বাড়ি। কাগে’র সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না

যারা পুজোর সময় শহরের কোলাহল থেকে খানিকটা দূরে গিয়ে শান্তিতে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এবারের পুজোয় উপযুক্ত হতে পারে এই পাহাড়ি গ্রাম। এখানে ভিড়ভাট্টা নেই, কারণ এই জায়গাটি এখনও পর্যন্ত খুব পরিচিত হয়ে ওঠেনি। তাই নেই গাড়ির হর্ন বা কোলাহল। বরং সন্ধ্যা নামলেই আপনি শুনতে পাবেন ঝিঝিঁ পোকার ডাক, পাহাড়ি শীতলতা, স্নিগ্ধতা। ভোর বেলা উঠে যদি সূর্যদেব মুখ তুলে চান তাহলে দেখতে পাবেন দূরে বরফে ঢাকা তুষারশৃঙ্গ আপনাকে সুপ্রভাত জানাচ্ছে। স্লিপিং বুদ্ধের সেই রূপ আপনার মনে এনে দেবে পাহাড়ি প্রশান্তি।

আগেই বললাম কাগে খুব একটা পরিচিত নয়। তাই এখানে ভিড়ও অন্যান্য জায়গার মতো নয়। তবে ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠছে কাগে। তৈরি হচ্ছে একাধিক হোমস্টে। পর্যটকরা আসছেন, থাকছেন, কথা দিয়ে যাচ্ছেন আবার আসবেন।

পাহাড়ি মানুষরা এমনিতেই খুব আন্তরিক হন। ব্যতিক্রম নন কাগের স্থানীয়রাও। তাই এখানে যারা আসবেন তাঁদের থাকতে হবে হোমস্টেতে। যারা থাকবেন তারা এখানকার মানুষের আতিথিয়তা তো পাবেনই, সেই সঙ্গে আস্বাদন করে নিতে পারেন পাহাড়ি খাবারের স্বাদ। স্থানীয়রাই এখানে চা বাগান ঘুরিয়ে দেখান। ধীরে ধীরে কাগে পর্যটকদের কাছে পরিচিত হচ্ছে, ফলে এই মানুষগুলিও আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠার পথ খুঁজে পাচ্ছেন।

কাগে ঘুরতে এলে ঘুরে নিতে পারেন লেপচাজগৎ, লামাহাটা, তাকদাহ’র মতো গ্রাম। চারপাশে বন, ঝর্ণা সহ প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আদর্শ জায়গা হিসেবে দেখাবে। ট্রেনে করে আসতে গেলে প্রথমে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে শিলিগুড়ি বা দার্জিলিংয়ের দিকে যে গাড়িগুলি আসে শেয়ার হোক বা রিজার্ভ, যে কোনওটাতেই চেপে চলে আসতে পারেন কাগেতে। লেপচাজগৎ থেকে মাত্র ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে এই ছোট্ট গ্রাম। ফ্লাইটে আসতে গেলে আসবেন বাগডোগরায়। সেখান থেকে একইভাবে যেতে হবে কাগে গ্রামে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেশীয় আনারকলিতে ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চের শোভা বাড়ালেন ভারতীয় প্রতিযোগী মণিকা বিশ্বকর্মা

চন্দ্রকোণাতে ৬৯ হাজার টাকার খুচরো পয়সা দিয়ে নতুন স্কুটি কিনলেন চা বিক্রেতা, গুনতে সময় লাগলো ২ ঘণ্টা

এক রাতে ইউক্রেনে ৫০৩ বার হামলা চালাল রাশিয়া

শীতের শুরুতেই বাঘ মামার দর্শন, ডাঙায় দেখা মিলল কুমিরের

জেল না পাঁচতারা হোটেল? বেঙ্গালুরুর কারাগারে পা দুলিয়ে টিভি দেখছেন বন্দিরা

চিকিৎসকের লকারে মিলল একে ৪৭, হুঁশ উড়ে গেল পুলিশ আধিকারিকদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ