এই মুহূর্তে




‘জীবন দিয়ে মূল্য দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধি’, অপারেশন ব্লু স্টার নিয়ে বিস্ফোরক পি চিদাম্বরম

নিজস্ব প্রতিনিধি: অপারেশন ব্লু স্টারের মাধ্যমে স্বর্ণমন্দির পুনরুদ্ধারের পন্থাকে ভুল বলে বর্ণনা করেছেন কংগ্রেসের প্রবীন নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম। অপারেশন ব্লু স্টার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সেই সঙ্গে দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে এই হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। সম্প্রতি কাসৌলে একটি সাহিত্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথাই বলেন চিদাম্বরম।

প্রবীন কংগ্রেস নেতার কথায়,”কোনও সামরিক আধিকারিকদের অসম্মান না করেই বলছি, স্বর্ণমন্দির পুনরুদ্ধারের পন্থা ঠিক ছিল না। ভুল উপায়ে পুনরুদ্ধার হয়েছিল। সেনাবাহিনীকে বাইরে রেখেও যে স্বর্ণমন্দির উদ্ধার করা যায় তা আমরা কয়েক বছর পরেই দেখেছি। ব্লু স্টার সঠিক পন্থা ছিল না। আমি অনেকের সঙ্গেই একমত, শ্রীমতি গান্ধিকে সেই ভুলের মূল্য জীবন দিয়ে দিতে হয়েছিল।” ১৯৮৪ সালের জুন মাসে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির থেকে খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছিল। সেকথা বলতে গিয়ে চিদাম্বরম আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেন যে এই সিদ্ধান্ত একা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেননি।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতার কথায়, “এটি সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সিভিল সার্ভিস আধিকারিকদের মিলিত সিদ্ধান্ত ছিল। তাই শুধু শ্রীমতি গান্ধিকে দোষারোপ করে লাভ নেই।” বর্তমান পঞ্জাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে চিদাম্বরম বলেন যে খালিস্তান গঠনের দাবি এখন অনেকাংশে কম। সেই জায়গায় অর্থনৈতিক দুর্দশা পঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে প্রকট হয়ে উঠেছে।

অপারেশন ব্লু স্টার

১৯৮৪ সালের ১ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছিল অপারেশন ব্লু স্টার। পঞ্জাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল উগ্র খালিস্তানি প্রচারক জার্নাল সিং ভিন্দ্রানওয়ালার নেতৃত্বে সশস্ত্র বিদ্রোহ। তাদের দাবি ছিল পঞ্জাব আর ভারতের বশ্যতা মানবে না। ভাষার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে খালিস্তান। এই দাবির বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির সরকার। বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ দমন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অপারেশন ব্লু স্টারের। অকাল তখত এবং স্বর্ণ মন্দির প্রাঙ্গনের বিবিধ অংশে নিজেদের শক্তিশালী করে তোলা ভিন্দ্রানওয়ালা এবং তার অনুসারীদের অপসারণের জন্য সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে ট্যাঙ্ক এবং ভারী কামানের ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ফলে খালিস্তানি জঙ্গি, সেনা এবং বহু সাধারণ মানুষ নিহত হয়।

এই হামলা শিখ সম্প্রদায়কে গভীরভাবে আহত করেছিল। শিখ ধর্মে স্বর্ণমন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। সেই স্বর্ণমন্দিরের ভেতরে যুদ্ধ মেনে নিতে পারেনি পঞ্জাব। দেখা দেয় ব্যাপক ক্ষোভ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির গুলিবিদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর স্বর্ণ মন্দিরে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইন্দিরাকে গুলি করে হত্যা করেন তাঁর দুই দেহরক্ষী শতবন্ত সিং ও বেয়ন্ত সিং। তারপরেই ভারত জুড়ে শুরু হয় প্রবল শিখ-বিরোধী দাঙ্গা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বৃহস্পতিতে দশমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতিশ কুমার, কারা হবেন নতুন সরকারে মন্ত্রী?

অন্ধ্রে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ! শীর্ষনেতা হিডমার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ৭ মাওবাদী খতম

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার

মর্মান্তিক! অস্ট্রেলিয়ায় ৮ মাসের গর্ভবতী ভারতীয় মহিলাকে পিষে মারল বিএমডাব্লু গাড়ি

দিল্লি বিস্ফোরণে নাম জড়ানো আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেফতার করল ইডি

হাসিনার ফাঁসির রায়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে ইউনূসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ