নিজস্ব প্রতিনিধি: অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের প্রতিযোগিতা চলাকালীন যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছেন আয়োজকরা। প্রতিযোগিতার সময়ে খেলোয়াড়দের অবাধে যৌন সঙ্গমে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের যৌন সঙ্গমের জন্য ৩,০০,০০০ কন্ডোম সরবরাহ করছেন আয়োজকরা। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটতে চলেছে।
২০২০ সালে সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ক্রীরাবিদদের যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ওই সময়ে গোটা বিশ্বজুড়েই করোনা অতিমারী তাণ্ডব চালিয়ে চলছিল। সংক্রামক ব্যধির মতো যাতে প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্যই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা ওই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছিল। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনেক ক্রীড়াবিদ। তাদের বক্তব্য ছিল, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন আয়োজকরা। কিন্তু সমালোচনার মুখেও পিছু হঠেননি আয়োজকরা।
তবে এবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ‘স্কাই নিউজ’ এর প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্যারিস অলিম্পিকের ভিলেজ ডিরেক্টর লরেন মিচাউ জানিয়েছেন, ‘আসন্ন অলিম্পিকে গোটা বিশ্বের ১৪ হাজার ২৫০ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছেন। ওই ক্রীড়াবিদরা চাইলে সঙ্গি কিংবা সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন। অলিম্পিক ভিলেজের প্রতিটি ঘরে তাই কন্ডোম রাখা হচ্ছে।’ তবে অলিম্পিক ভিলেজে কন্ডোম রাখা হলেও কোনও শ্যাম্পেন মিলবে না বলে জানিয়েছেন ভিলেজ ডিরেক্টর লরেন ম্যাচাউ। তাঁর কথায়, ‘শ্যাম্পেনের মজা পেতে হলে অবশ্য ক্রীড়াবিদদের প্যারিসে যেতে হবে।’ শ্যাম্পেন না মিললেও এলাহি খাবারের বন্দোবস্থ করছে আয়োজকরা। ৩৫০ মিটার দীর্ঘ জায়গাজুড়ে থাকছে বুফে সিস্টেম। বিভিন্ন দেশের খাবার ছাড়াও ফ্রান্সের নিজস্ব খাবার রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী জুলাই মাসেই বিশ্ব ভ্রমণে বের হচ্ছে অলিম্পিকের মশাল। আর মশাল প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানকে স্মরণীয করে রাখতে ২১০ কোটি ডলার খরচ করা হচ্ছে।