এই মুহূর্তে




লজ্জা! বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছুড়ে ফেললেন ‘হিযবুত তাহরীর’ জঙ্গি মাহফুজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: যিনি না থাকলে বাংলাদেশ তৈরি হত না, সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে মুছে ফেলতে কোমর কষে আসরে ঝাঁপিয়েছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগেই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। এমনকি শেখ মুজিব-সহ তাঁর পরিবারের নামে পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে। এবার খোদ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে ছুড়ে ফেলা হল শেখ মুজিবের ছবি। আর ওই লজ্জাজনক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে রবিবার শপথ নেওয়া কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ শীর্ষ নেতা মাহফুজ আলম। শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবি ছুড়েই ফেলেননি, সোমবার (১১ নভেম্বর) ঘটা করে তা ফেসবুকে পোস্টও করেছেন ভারতে নাশকতামূলক কাজকর্ম চালানোর অন্যতম হোতা। ইতিমধ্যেই ওই লজ্জাজনক কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন একাধিক বিশিষ্টজন ও নেটা নাগরিক।

শেখ হাসিনার জমানায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কাজকর্মের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল হিন্দুদের খতম অভিযানে নামা হিযবুত তাহরীরকে। কিন্তু জমানা বদলের পরেই ওই সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মাহফুজ আলমকে নিজের বিশেষ সহকারী হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার পোষ্যভৃত্য মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের গভীর ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে কুখ্যাত জঙ্গি নেতাকে নিউইয়র্কে পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। গতকাল রবিবার পদোন্নতি দিয়ে উপদেষ্টা অর্থা‍ৎ মন্ত্রী পদে নিয়োগ করেছেন।

আর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছুড়ে ফেলেছেন কুখ্যাত হিযবুত তাহরীর জঙ্গি মাহফুজ। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই দরবার হলে ঠাঁই পেয়েছিল বাংলাদেশের স্থপতির ছবি। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর মতো কুকীর্তির কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে তালিবানি রাজত্বের অধীনে থাকা বাংলাদেশের জনগণকে জানিয়ে দিয়েছেন কুখ্যাত জঙ্গি। ফেসবুকে মাহফুজ লিখেছে, ‘৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তাঁর ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাঁকে কোথাও দেখা যাবে না।’ নিরীহ মানুষকে খুনে অভিযুক্ত কুখ্যাত জঙগি নেতা আরও লিখেছে, ‘‘শেখ মুজিব ও তাঁর মেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন, তার জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই দায়স্বীকার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে—অগণতান্ত্রিক ’৭২-এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, হাজার হাজার কোটি অর্থ পাচার, হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (১৯৭২-’৭৫, ২০০৯-’২৪)।’’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিসিবির মহিলা ক্রিকেটের প্রধান হলেন ইউনূসের ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ রুবাবা দৌলা

হাসিনার ফাঁসির রায়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে ইউনূসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হিন্দুদের কচুকাটা করেছিলেন বাবা, শেখ হাসিনার মামলায় ছেলে সরকারি আইনজীবী

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সংযমী প্রতিক্রিয়া চিনের

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ ইউনূস সরকার

নবান্নে শাড়ি কিনে দেয়নি স্বামী, রাগে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন স্ত্রী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ