এই মুহূর্তে




টলে গিয়েছিল সৃষ্টির ভারসাম্য! চতুর্বেদের অধিকারী দুর্গমাসুরকে বধ করেছিলেন দেবী দুর্গা




নিজস্ব প্রতিনিধি : আর কিছুদিন পরেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালিরা। হাতে আর বেশি সময় নেই।দেবী পার্বতীর উগ্র রুপের নাম হল ‘দুর্গা’। দুর্গা পুজা মানেই হল মাতৃশক্তির আরাধনা। অধর্মের বিনাশ করে ধর্মের জয়। আপনি কী জানেন দুর্গমাসুরকে বধ করে পাপের বিনাশ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তবে পুজোর আগেই জেনে নিন দুর্গমাসুরকে কীভাবে বধ করেছিলেন দেবী দুর্গা।

পাঞ্জন গোস্বামী অসুররাজ হিরণাক্ষের বংশধর ছিলেন রুরু। তাঁর পুত্র ছিলেন দুর্গ। সমুদ্রমন্থনের সময় অসুরদের সঙ্গে দেবতাদের প্রতারণা এবং দেবী পার্বতীর হাতে পিতা রুরুর অপমৃত্যুর কারণে জন্ম থেকেই দেবতাদের ওপর ছিল দুর্গের সীমাহীন ক্রোধ। এই ক্রোধ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। দেবকুলের সব দেবত্ব বিনাশ করে অসুরকুলের প্রভুত্ব কায়েম করার জন্য বেদের দখল নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভয়ঙ্কর অসুর দুর্গ।

তিনি জানতেন ব্রহ্মা দ্বারা সৃষ্ট ও ব্রহ্মার আশীর্বাদধন্য ঋষিদের লেখা বেদের অসীম ক্ষমতার কথা। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বেদ যাঁর, ত্রিলোক তাঁর। তাই তিনি ব্রহ্মাকে তুষ্ট করার জন্য কঠিন তপস্যা শুরু করেছিলেন। এক হাজার বছর ধরে দুর্গের সেই কঠোর তপস্যায় আসতে বাধ্য হয়েছিল ব্রহ্মা। ব্রহ্মার কাছে চালাকি করে বর চেয়েছিল দুর্গ। এক ছিল-অমরত্বের বর আর দ্বিতীয় ছিল- চার বেদের সম্পূর্ণ অধিকার। ব্রহ্মা পড়েছিলেন মহা ফাঁপরে। অমরত্বের বর দেওয়া সম্ভব নয়, অন্যদিকে বেদের পূর্ণ অধিকার দুর্গকে দিলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত জ্ঞান অসুরকুলের করায়ত্ত হবে, অশুভশক্তির বিজয়পতাকা উড়বে ত্রিলোকে। কিন্তু তাঁর উপায় ছিল না, কারণ একটি বর দেওয়ার অঙ্গীকার করে ফেলেছিলেন তিনি। তাই অমরত্বের বদলে তিনি দুর্গকে দিয়েছিলেন চতুর্বেদের অধিকার। ব্যস চারিদিকে অর্ধম হতে থাকল। ত্রিলোক জয় করার নেশা চেপে ধরল দুর্গমাসুরকে। আর তাতেই হল বিপত্তি।

সেই দুর্গমাসুরকে বধ করতে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দেবী শাকম্ভরীরূপী দেবী পার্বতী। এক উজ্জ্বল ও বৃত্তাকার গণ্ডি কেটে দিয়েছিলেন দেবতাদের চারিদিকে। তারপর নতুন এক অসুরবিনাশিনী রূপ ধারণ করে নিজে রইলেন বৃত্তের বাইরে। শত্রু নিধনের জন্য বিভিন্ন মারণাস্ত্র হাতে নিয়ে দশভুজা দেবী বসে ছিলেন হিংস্র এক সিংহের উপরে। দূর থেকে দুর্গমাসুরকে দেখতে পেয়ে সিংহবাহিনী দেবী বজ্রকণ্ঠে রণহুঙ্কার দিয়ে উঠেছিলেন। সেই রণহুঙ্কারে কেঁপে উঠেছিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। শুরু হয়েছিল সিংহবাহিনী দেবীর সঙ্গে দুর্গমাসুরের ভয়ঙ্কর যুদ্ধ।

দুর্গমাসুরের রথ লক্ষ্য করে একইসঙ্গে পনেরোটি তির ছুঁড়েছিল দেবী। চারটি তির বিদ্ধ করেছিল রথের চারটি ঘোড়াকে। পঞ্চম তিরে বিদ্ধ হয়েছিল রথের সারথি। একটি তির রথের উপর উড়তে থাকা দুর্গমাসুরের পতাকাকে ছিড়ে ফেলেছিল। দুটি তির গেঁথে গিয়েছিল দুর্গমাসুরের দুটি চোখে। দুটি গেঁথে গিয়েছিল দুর্গমাসুরের শক্তিশালী দুটি বাহুতে। অবশিষ্ট পাঁচটি তির বিদীর্ণ করেছিল দুর্গমাসুরের হৃৎপিণ্ডে। চেতনা হারাবার আগে রক্তবমি করতে শুরু করেছিলেন দুর্গমাসুর। মৃত্যুর আগে বক্ষ থেকে এক তেজ নির্গত হয়েছিল দুর্গমাসুরের শরীর থেকে। তা হল বেদের জ্ঞান। আলোকোজ্জ্বল বেদজ্ঞান প্রবেশ করেছিল দেবীর দেহে। সেই থেকে দেবতাগণ নাম দিয়েছিল দেবী দুর্গা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

নদিয়া জেলার কোন কোন পুজো পেল বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান?

মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি শৃঙ্গ জয় করে রেকর্ড নেপালি কিশোরেরর

দুর্গার এই মন্ত্র জপুন, কেটে যাবে সব বিপদ-বাধা

আগামী বছর এগিয়ে আসছে দুর্গাপুজো, কবে শুরু জেনে নিন…

বেলগাছকে দুর্গা রূপে পুজো, আজও বলির নিয়ম চলে আসছে শীল বাড়িতে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর