নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীনতার সময় মাত্র ১৪টি জেলা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ (WEST BENGAL)। এখন জেলার সংখ্যা ২৩। পথচলার পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস। অনেকে দাবি করেন ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। আবার অনেকে বলেন, এই দিনকে বঙ্গভঙ্গ দিবস বলা ভালো। জেনে নিন জেলার সংখ্যা বাড়ার ইতিহাস।
কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, মেদিনীপুর, চব্বিশ পরগণা- প্রথমে এই ১৪টি জেলা নিয়ে ছিল রাজ্য। ১৯৫০ সালে কোচবিহার অন্তর্ভুক্ত হয় রাজ্যের। ১৯৫৪ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর যুক্ত হয় হুগলি জেলায়। ১৯৫৬ সালে বিহারের মানভূম জেলা থেকে বেরিয়ে পুরুলিয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের। ওই বছরেই বিহারের একটি অংশ অন্তর্ভুক্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিনাজপুর জেলায়।
১৯৮৬ সালে চব্বিশ পরগণা ভেঙে রাজ্যের নতুন জেলা হয় উত্তর ২৪ পরগণা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা। ১৯৯২ সালে পশ্চিম দিনাজপুর জেলা থেকে তৈরি হয় উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। পশ্চিম দিনাজপুর নামে আর কোনও জেলা নেই। ২০০২ সালে মেদিনীপুর জেলা বিভক্ত হয়ে হয়, একটি জেলার নাম হয় পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ওপর জেলার নাম হয় পূর্ব মেদিনীপুর। ২০১৪ সালে জলপাইগুড়ি থেকে বেরিয়ে আসে নতুন জেলা আলিপুরদুয়ার। ২০১৭ সালে দার্জিলিংকে বিভক্ত করে নতুন জেলা গঠন করা হয়। এই জেলার নাম কালিম্পং। ওই বছরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে বেরিয়ে আসে ঝাড়গ্রাম জেলা। ২০১৭ সালে বর্ধমান জেলা থেকে বেরিয়ে আসে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। অন্য জেলার নাম হয় পূর্ব বর্ধমান।
ভিক্টোরিয়া আরোহণ করেছিলেন মসনদে, ১১০ বছর পরে সেই দিনেই গৃহীত হয় ‘বঙ্গভঙ্গ’ প্রস্তাব
বর্তমানে ২৩টি জেলা- পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং।
আরও ৭টি নতুন জেলা আত্মপ্রকাশ করতে পারে। তাহলে জেলার সংখ্যা বেড়ে হবে ৩০। নতুন জেলা হতে পারে বসিরহাট (মহকুমা জেলা), বহরমপুর, কান্দি, জঙ্গিপুর, রানাঘাট, ইচ্ছামতী, সুন্দরবন, বিষ্ণুপুর।