নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে গ্রেফতার দাদা নরেন কান্দু। এই খুনের ঘটনা নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার নরেন কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে নরেনের ছেলে দীপক কান্দুকে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় আসিফ খান নামের ঝালদার এক ব্যবসায়ীকেও। সবমিলিয়ে ঝালদা কান্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। আসিফের মাধ্যমে ভাড়াটে খুনির সঙ্গে যোগাযোগ হয় বলে তদন্তে উঠে আসছে।
ভাড়াটে খুনী কলেবর সিংকে জেরা করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোটা টাকা সুপারির বিনিময়ে পুরুলিয়ার (purulia) ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস (congress) কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করা হয় বলে জানা যায়। এই খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুকে শনিবার দিনভর জেরা করেন তদন্তকারীরা। আর তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে জেরা করা হয় নরেন কান্দুর ঘনিষ্ঠ ঝালদার কুটিডি এলাকার বাসিন্দা আসিফ খানকে। আসিফ একসময় বিহারে থাকত।
কাউন্সিলরকে খুন করার দিন বাইকে চেপে আসা তিন আততায়ীর মধ্যে কলেবর ছিল কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি পুলিশ। তবে কলেবর এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম চক্রী। সে বিহারের বাসিন্দা।
নরেন কান্দু সুদের ব্যবসা করতেন। তাঁর সঙ্গে আসিফ খানের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। ষাট বছরের আসিফ খান একসময় বিহারে থাকত। আসিফ খানকেই মোটা টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে সিটের প্রাথমিক অনুমান। আসিফ তার পরিচিত ঝাড়খণ্ডের বোকারোর(bokaro) ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ কলেবর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কলেবরের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকেই এই খুনের ভার দিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসছে। রফা হওয়ার পর কলেবর বিহারের দুই খুনীকে তার সঙ্গী করে বলে অভিযোগ। এরপরই ওই দুই খুনি ও কলেবর ঝালদায় ঢুকে গত ১৩মার্চ তপন কান্দুকে খুন করে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথ ধরে কুটিডি গ্রামে গিয়ে আসিফের ঘরে আশ্রয় নেয়।