আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অমর একুশের বইমেলা শুরুর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি। প্যাভিলিনয়ন বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রকাশক থেকে শুরু করে বই বিক্রেতারা অ্যাকাডেমি অফিসে টাকা জমা দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে যে হারে সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আসন্ন বইমেলা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে প্রশ্ন ইতোমধ্যে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেছে তা হল বইমেলা শুরু করা যাবে তো? শুরু করা গেলেও মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হবে না তো? এই প্রশ্ন শুধু বাংলা অ্যাকাডেমি কর্মকর্তাদের নয়, এই প্রশ্ন বাংলাদেশের পুস্তকপ্রেমি সব মানুষের।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোরকদমে চলছে প্যাভিলিয়ন, স্টল নির্মাণের প্রস্তুতি। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসিনা সরকার ১৩ জানুয়ারি থেকে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে। গত বছর করোনার কারণে বইমেলা প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। ১ ফেব্রুয়ারির বদলে মেলা শুরু হয় ১৮ মার্চ থেকে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ মার্চ। নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগে, ১২ মার্চ মেলা বন্ধ করে দিতে হয়।
এদিকে, চলতি বাণিজ্যমেলায় মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখে সে দেশের চিকিৎসকমহল থেকে শুরু করে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। যদিও মেলা বন্ধের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য কমিটি মেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেই তা বন্ধ করা হবে। বাংলাদেশ বাণিজ্যমেলা চলছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চিন ফ্রেন্ডশিপ এগজিবিশন সেন্টারে।