নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: বহুল চর্চিত কলেজ ছাত্রী (College Girl) ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর (Police Inspector) মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ (Manjurul Hasan Masud) অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন। বুধবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক দিলরুবা সুলতানার (Dilrube Sultana) এজলাসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিচারক সঙ্গে সঙ্গে জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে জেল হেফাজতে পাঠান।
ফেসবুকে এক যুবকের লাগাতার উত্যক্তের কারণে খুলনার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (PBI, Khulna) ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের সাহায্য চান এক কলেজ ছাত্রী। সাহায্যের অছিলায় গত ১৫ মে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ফোন করে ধর্মসভা মন্দিরের সামনে আসতে বলেন মাসুদ। সেখানে আসার পরে সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) অফিসে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে ওই ছাত্রীকে ছোট মির্জাপুরের একটি অফিসে নিয়ে যান। অফিস কক্ষে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই আচমকা অপরিচিত এক ব্যক্তি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে। তার পরে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এমনকী ধর্ষণের ঘটনা কাউকে কিছু জানালে খুন করা হবে বলেও ওই কলেজ ছাত্রীকে হুমকি দেন। কোনও ক্রমে পালিয়ে খুলনা থানায় গিয়ে ধর্ষণের কথা জানায় ওই নির্যাতিতা।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নমুনা ও প্রমাণ সংগ্রহ করেন খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ধরতে পারেননি। ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন মাসুদ। পলাতক অবস্থায় গত ২৬ মে উচ্চ আদালত থেকে দুই সপ্তাহের আগাম জামিন পান। জামিনের শর্ত অনুযায়ী, এদিন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাসুদ। জামিন চাইলেও অবশ্য তার সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।