নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী শনিবার রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচন(Panchayat Election)। ওই দিন রাজ্যের ২০টি জেলার গ্রাম, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। একই সঙ্গে নির্বাচন হতে চলেছে দুটি জেলার পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের আসনেও। সেই নির্বাচনে যাতে ওই সব এলাকার সব বাসিন্দা অংশগ্রহণ করতে পারেন ও তাঁদের গণতান্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার জন্য এবার পদক্ষেপ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী(Hari Krishna Diwadi) এক বিজ্ঞপ্তি(Notification) জারি করে জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই রাজ্য সরকারের সব অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকান, কলকারখানা সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে। যাদের এই নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার আছে তাঁদের সবাইকে সবেতন ছুটি(Holiday with Pay) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারটাই একটা ভাঁওতাবাজি’, সরব অমর্ত্য
রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দোকানে, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সেই সব কর্মীদের ছুটি প্রদানের ওপর যারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন। এই নির্বাচনে তাঁরাই ভোটার। তাঁদের ভোটেই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন। তাই তাঁরা যাতে আগামী ৮ জুলাই তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এমনকি সেদিনের ছুটির উজন্য যাতে কারও বেতন কাটা না যায় সেই দিকেও জোর দিয়ে সবেতন ছুটির কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৩৫বি ধারা মোতাবেক এই সবেতন ছুটি প্রদানের কথা জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এমনকি যে সব জায়গায় আগামী রবিবার উপনির্বাচন হবে সেই জায়গার বাসিন্দাদেরও সেই দিনের জন্যও সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে ভোটের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হলেও এবারেই প্রথম দোকান কর্মীদের ওপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।