নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর সহ স্পর্শকাতর সাত জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ভয়মুক্ত পরিবেশে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য কমিশনের চিহ্নিত করা সাত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
আরও পড়ুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury) তাঁদের দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এদিন তাঁদের আইনজীবীদের দাবি, আদালত সেই দাবি মেনে নিয়েছে। আদালতের ‘নির্দেশ’ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে। রাজ্যের যে ৭টি জেলা স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে সেখানে এদিন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বাকি জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ না থাকলে সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য সরকার যে পরিমাণ বাহিনী চাইবে তা পাঠানোর বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু মামলাকারীদের এই সব দাবি মানতে নারাজ রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন অযোধ্যা তলে ভোটের বাদ্যি বাজে, লড়াই তো পদ্ম আর ঘাসফুলে
তাঁদের দাবি, আদালত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো যায় কিনা তা ‘ভেবে দেখুক’ কমিশন। নিরাপত্তার কথা ভেবে কমিশনের ‘উচিত হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো’। অর্থাৎ এখানে আদালত কমিশনের হাতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হবে কী হবে না তা কমিশনই ভেবে দেখুক। এমনকি রাজ্য ও কমিশনের আইনজীবীদের দাবি, আদালত এটাও জানিয়েছে রাজ্য চাইলে তবেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। রাজ্য যে সংখ্যক বাহিনী চাইবে তা কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে এবং সেই বাহিনীর খরচ কেন্দ্রকেই বহণ করতে হবে। তবে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন কোনও নির্দেশ দেয়নি, সবটাই তাঁরা কমিশনের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন, ভেবে দেখতে বলেছেন, এটাও আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এমনকি তাঁরা এটাও দাবি করেছেন, আদালত নিজেই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের এক্তিয়ার নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করার। তাই সব কিছুই ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। সরাসরি কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট।